বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মাণ্ডূক্যোপনিষদ্‌ - প্রথম খণ্ড (রামদয়াল দেবশর্ম্মা).pdf/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাতুক্যোপনিষদ। {} অন্ধকারাচ্ছন্ন হইয় ঘনবৎ হয় সেইরূপ। জলপূরিত কাল মেঘ, বৃষ্টিধারা সমূহ তাহার মধ্যে আছে কিন্তু বৃষ্টি হইতেছে না—সেই অবৃষ্টিংরস্তু অম্বুবাহমত, তরঙ্গশূন্য সমুদ্ৰমত অথবা নিবাত নিষ্কম্প দাপশিখামত তিনি প্রজ্ঞানঘন। আরও স্পষ্ট করিয়া বলিতেছি শ্রবণ কর । জাগ্রৎ ও স্বপ্ন অবস্থায় মনের স্ফুরণরূপ যে ঘটপটাদি বিভাগযুক্ত প্রজ্ঞান তাহ সুমুপ্তি অবস্থাতে, বুদ্ধি যখন তমোগুণরূপ অবিবেক দ্বারা আচ্ছন্ন হয়--তখন ঘন অন্ধকার মত হইয়া যায়। ঘটপটাদির বিজ্ঞান না থাকিয়া, ঘটপটাদি বিভাগযুক্ত না থাকিয়া, এক অন্ধকারে আচ্ছন্ন হইয়া অন্ধকারঘন একটি পদার্থ যেন হইয়া যায়। এই জন্য আত্মাকে প্রজ্ঞানঘন বলে। আনন্দময়, আনন্দভুক্‌ বিশেষণগুলির কথা পূর্বে বলা হইয়াছে। মুমুক্ষু। চেতোমুখ তিনি কিরূপে আর একবার বলুন। শ্রুতি। মুখ বলে দ্বারকে। বোধরূপ যে চিত্ত তাহা দ্বারা গুপ্তআত্মা স্বপ্ন ও জাগরণ অবস্থাতেও আগমন করিতে পারেন। সুপ্ত আত্ম। স্বপ্ন আর জাগ্রতময় প্রতিবোধরূপ চিত্তের প্রতিদ্বারভূত বলিয়া ইনি চেতোমুখ । মুমুক্ষু। ইনি প্রাজ্ঞ কেন এ সম্বন্ধে পূর্বে বলিয়াছেন নিরুপাধির জ্ঞান বা উপাধিশুন্য হওয়ার জ্ঞান তাহার প্রকৃষ্টরূপে তখন হয় বলিয়া তিনি প্রাজ্ঞ। অর্থাৎ “তার কিছুই নাই” এই জ্ঞানটি তাহার হুমুপ্তিকালেও থাকে, কারণ নিদ্রাভঙ্গে মানুষ বলে আহ বেশ ছিলাম। যদি জিজ্ঞাসা করা যায় কিসে বেশ ছিলে, তখন বলে আহ ! আর কিছুই ছিল না, বেশ ছিলাম। “আর কিছুই ছিল না” এই ধে স্মরণ হয় – সেই স্মরণটি_কিন্তু স্বযুপ্তির অনুভবেরই স্মৃতি। যাহা পূর্বে অনুভূত হয় তাহাই স্মৃতিতে আইসে। ঐতি যদিও স্বপ্ত পুরুষের নিকট অন্য সমস্ত জ্ঞানের লয় হয় আর আর কিছুই নাই” এই অনুভব থাকার জন্য র্তাহাকে প্রাজ্ঞ বলা হয়, কিন্তু আরও এক কারণে তাহাকে প্রাজ্ঞ বলা যায়। স্বযুপ্তি