পাতা:মিত্র-রহস্য - রায় বিহারী মিত্র.pdf/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ast টি-রহস্য । পর দিন দেওয়ান ও ধামাধৱ মোসাহেব প্রভূতি সকলে উপস্থিত চুইল। উভয় পক্ষে নানা কথা বিনামূল্যে বিক্রীত হওয়ার পর, ঠিক হইল যে কিঞ্চিৎ অর্থ খরচ করা উচিত এবং তাহা যথাক্রমে খরচ করা হইল। হুনুহুরের আনন্দের সীমা নাই, সে কাহাকেই খবরে আনে নাই, সকলকেই ঠাট্টা করে, এমন কি জগৎকে তৃণ জ্ঞান করে, কিন্তু রাজসরকারের লোকগুলিকে, খবরের কাগজের নামওয়ালাগুলিকে ও সম্পাদকগুলিকে বেশ আদর করে । কিছুদিন পরে তার স্ত্রী একদিন রামায়ণ পড়িতে পড়িতে দেখিল, রাজা দশরথের পুত্র ভরত আটমান সোনার বঁটুল লইয়া খেলা করিত। আমার স্বামী হুনুহর এবং আমার পুত্রের নাম ভরত, তবে কেন আমার ছেলে পাঁচ কে কাঠের গােলা লইয়া খেলা করিবে ? আজ তিনি আসুন বলিব আমার ভরত সোনার আটমন বঁটুল লইয়া খেলা করিবে, যদি ৰলে এত ভারি পারবে কেন, তা হলে বলিব, আপনি কখন রামায়ণ পড়েন নাই ও শাস্ত্ৰ জানেন না, মিথ্যা কি সত্য আপনি সমস্ত অধ্যাপককে ডাকিয়া জিজ্ঞাসা করুন। সোনা অতি দামী সামগ্ৰী, এর যত বেশী হয় ততই ভাল, এর আবার কম বেশী কি ? দামী জিনিষের দ্রব্য যত বেশী হয় ততই ভাল। এইরূপ মনে মনে চিন্তা করিতেছে ইত্যবসরে স্বামী আসিয়া উপস্থিত হইল ; স্ত্রী সসন্ত্রমে উঠিয়া স্বামীকে বসাইল। " স্বামী জিজ্ঞাসা করিল,-তোমার হাতে কি বহি ? স্ত্রী কহিল,-রামায়ণ, এই পুস্তকে নানা রকম গল্প আছে এবং देशष्ठ ब्रांभांदडांद्रद्ध नांन कौवों यांछि । স্বামী বলিল,-তুমি বল দেখি সীতা কারা ভাৰ্য্যা এবং সীতার ৰাপ কে ? শ্ৰী উত্তর করিল,-রামের। ভাৰ্য্যা- সীতা এবং জনক অহার বাপ ।