পাতা:মিত্র-রহস্য - রায় বিহারী মিত্র.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিন্তা-রহস্যন্ত । ه؟ ভ্ৰান্তমনীষিগণের নিজের নিজের মূল মন্ত্রকে নিজে নষ্ট করিয়া ও সামাজিক শান্তিটিকে ভাঙ্গিয়া সমাজের ভিতর অশান্তিটিকে জাগায় । হে পাণ্ডিত্যাভিমানিগণ ! এস আমরা সকলে আপাতত বোবা হই; কারণ ইহাতে আমাদের বলিবার কিছুই নাই। তবে বেশীর ভাগ আমরা যুক্তির দ্বারা স্থলটি থেকে সূক্ষটিকে বাঁধিতে পারি, কিম্বা যুক্তির দ্বারা সূক্ষটি হইতে স্থলটিকে এলাইতে পারি। কিন্তু এই দুইটি প্ৰণালী পূর্ববৎ ও পরবৎ বলিয়া কথিত । সকল সময়ে সকল দেশের দার্শনিকেরা অব্যক্তকে ব্যক্তি করিতে অনেক চেষ্টা করিয়াছে কিন্তু কেহই অব্যক্তকে ব্যক্তি করিতে পারে নাই । যার মাথা যতটুকু দোঁড়িতে পারিয়াছে, তার মাথা ততটুকু গিয়া শেষ হাঁপাইয়া গিয়াছে। যত ব্যক্তি এইরূপ ব্যাপারে দৌড়িয়াছে, তাহারা সকলেই পড়াস্থানটীকে সংজ্ঞা দিয়া, সংজ্ঞাবিশিষ্ট করিয়াছে । ফলত বহুরকম সংজ্ঞার তারতম্য হওয়াতে বহুমতি হইয়াছে। এবং ঐ মতভেদই তর্কের মূলীভুত কারণ হয়, বাস্তবপক্ষে অশেষটা ও বিশেষটা ঠিক হয়। বুঝলে কি ? সম্ভবপর ও অসম্ভবপর । হে ভ্ৰান্ত ভাইসকল ! ঘোড়ার নাচের বানরের দল রিঙ্কের ভিতর আসিতে না আসিতে দর্শকবৃন্দাদিগের ভিতর হাসির রেল গাড়ির দিম থামিত না । দর্শকবৃন্দেরা নানাপ্রকার ভাষাতে ও অঙ্গপ্ৰত্যঙ্গের চালনার দ্বারা বানর দিগকে কত প্ৰশংসা করিত; যখন বানরেরা গাড়ী হইতে নামিত, তখন “হুররে, হুররে” শব্দের আওয়াজে ঘোড়ার নাচের তাঁবুটা প্ৰতিধ্বনি হইত এবং বড় বড় ফুলের তোড়ার গাদার_ভিতর