পাতা:মিত্র-রহস্য - রায় বিহারী মিত্র.pdf/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তিন ইয়ারের ভোট। ৫ SWS উপর পা দিয়ে বসে খেতে পাই না । বসে আহার করা মহা পুণ্যের কাজ, ভাগ্যলক্ষনীর কৃপা না থাকিলে বিনা শ্ৰমে আহার জুটে না । তোমার উপর ভাগ্যলক্ষনী সদয়, তাই তুমি সবার চেয়ে বড়, সরস্বতী লক্ষনীর হাতধারা, তোমার লেখা পড়া শিখে কি হবে, যা বাপ দাদা রেখে গেছেন, তোমার পক্ষে যথেষ্ট, তাতে আবার তোমার ছেলে নাই। নদেরচাঁদ, কেন তুমি ছেলে হবার জন্য বাড়ীতে পুরাণ পাঠ করাও নাই ? নদেরচাঁদ,-আমি সবই করেছি। কিছুই হয় না । ভুড়তুড়িচাঁদ,-বােধ হয় তুমি একমনে কাজ কর নাই, আর যারা ব্ৰতী ছিল তারা ও উপযুক্ত নয়, আমার ইচ্ছা হয় যে তোমার জন্য কিছু করি। তবে যে জিনিষগুলির দরকার তোমাকে সেই গুলি যোগাড় করিতে হইবে, আর এক কথা, জিনীষগুলি সব খাটি চাই, আর আমার সঙ্গে যারা এই কাজ করিবে তাহাদিগকে শুদ্ধাচারী হয়ে থাকিতে হইবে, আর তুমি অর্থের কৃপণতা করিতে পরিবে না। আমার কথামত কাজ করিতে যদি তুমি সন্মত হও, তাহা হইলে বোধ হয়। আমি সফল হইতে পারি । ভুড় ভূড়ির্চাদের কথায় নদেরচাঁদ কোন উত্তর দিল না, চুপ করিয়া থাকিল। এমন সময় বোকাচাঁদ সেখানে উপস্থিত হইল, ভুড়ভুড়িচাঁদের প্ৰতি চাহিয়া বলিল,-কিহে ভুড়ভুড়িচাঁদ ! এতদিন কোথায় লুকিয়ে ছিলে ? আসিয়াই বাপু নদেরচাঁদকে জকিসক করে ফেলেছি। কি হে নদেরচাঁদ ! গুতো খেয়েই যে চুপ মেরে রইলো। মুখে বাক সরে না যে, ভুড়তুড়িচাঁদ বোবা করে ফেললে নাকি ? ভাই ভুড়ভুড়িচাঁদ কি ঔষধ শিখে এসেছিস, আমায় একটু দেন ভাই, আমার বিশেষ উপকার হবে, কেনমা আমাকে বড় লোকের কাছে যেতে হয়, তারা গাঁ গা করে আসোরটা মাটি করে । জানিসতো ভাই, RY