পাতা:মিত্র-রহস্য - রায় বিহারী মিত্র.pdf/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তিন ইয়ারের ভেট । ” УУ О সব হামাগুড়ি দেয়, কিন্তু কি করি, সব দিগ বজায় রাখতে হবে তো ? দেখনা বাবা মরে যাবার পর থেকে আমার লেখা পড়া সাঙ্গ হল । বোকাচাঁদ,--তাইতে বলি নদেরচাঁদ, আমাদের মত লোকের অনেক বাপ থাকা উচিৎ, কিন্তু বিধির কি বিড়ম্বন, একজন মরলো আর একজন অমানি যুড়ে বসলে, তা না হলে কি রং তামাসা হয়, লেখা পড়া হয় ? এ, কিনা বিষয় বিষয় করে জীবনটি গেল, ওর চেয়ে ভিখারীর ছেলে হওয়া ভাল, দেখনা আমি রং তামাসা নিয়ে থাকি, খাই দাই রগড় করে বেড়াই, কোন ভাবনা চিন্তা নাই। তবে ভুড়তুড়িচাঁদ কেমন আছ ? ভুড়ভুড়িচাঁদ,-তোমায় অনেক দিন পর দেখে মনে খুব আহলাদ হলো, আমি ভাই অনেক দিন অনেক টােলে ফিরে ঘুরে অনেক লেখা পড়া অনেক শিখে অনেক দেশ দেখে এলুম। এতক্ষণ নদের চাঁদের সঙ্গে কথা বাৰ্ত্ত হচ্ছিল, তুমি আসতে সোণায় সোহাগা হল। তোমার ছেলে হয়েছে ? না নদের চাঁদের মত । বোকাচাঁদ,-আমার পয়সা নাই যে হোৱা যাগ করে ছেলে হবে, তিনি ইচ্ছা করিলেই সব হয়। গরিবের সহায় তিনি, বাপ দাদার। দেখে শুনে নাম ঠিক রাখে। তুমি টোলে পড়ে বিদ্বান হবে, দেশ দেশান্তরে যাবে এইটী যেন বাপ দাদারা যেনে শুনে তােমার নাম ভুড়ভুড়িচাঁদ রেখে ছিল। আমি লোক। কোপাও যাবনা, তারা বুঝেই ঠিক নাম দয়াছেন। তা ভাই বুক্‌নি শিখেছি তা হলেই বেশ চলবে, টিকি রেখেছি, ওটা হজমা গুলি, ওটা না হলে কিছুই হয় না। তা বেশ বেশ । নদেরচাঁদ,-ভুড়ভুড়িচাঁদ এতিক্ষণু, কত কি বলে, ভুড়তুড়ি খুব লেখা পড়া শিখে এসেছে, তা ভাই আমি কিছুই বুঝতে পারিলাম না। কি কাল, কাল, আরও কত কি বল্লে।