পাতা:মিত্র-রহস্য - রায় বিহারী মিত্র.pdf/১৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰেম-রহস্য । وU\\ প্রকাশক মাত্র, অধিক কি পঞ্চতত্ত্ব ও গুলির তত্ত্ব অনুসন্ধান করা যাইতে পারে। বােকচাঁদ,-তুমি যা বল্লে, সবই ঠিক, কিন্তু ধরতে ছুতে নাই। আয়িমার গল্পের মত শুনতে ভাল, কিন্তু কাজে নবডঙ্গা, কোনটার পর কোনটা, সেটাও ঠিক করা যায় না, তবে মহাজুনের কাল্পনিক কথা ব্যতীত অন্য কিছুই নাই, যদি কেহ বিপরীত বলে সেটার ঠিক করিবার উপায় নাই, কেননা দুই জনের অবস্থা সমান, বাস্তবিকই একজন আর একজনকে দেখাইয়া দিতে পারে না ; এ অবস্থায় যাহার কথার পুটুকী বেশী সেই আসরে জয়লাভ করে । সৃষ্টির সময় কেহই ছিল না, সেহেতু সৃষ্টির কথা বলা চলে না ; আবার যিনি সৃষ্টি করেছেন তিনি কাহার সঙ্গে পরামর্শ করে কাজ করেন নাই, তবে অন্যে জানিবে কি প্রকারে ? মহাজনের। দুরদর্শী, যেহেতু বৰ্ত্তমান হইতে ভুত, ভবিষ্যত ঠিক করিয়া লয়। তাঁজ কালকার গাজাখোরের ফলিত জ্যোতিষ নয়। যাহা বৰ্ত্তমানে আছে, তাহ অতীতে ছিল, ফলত ভবিষ্যতে থাকিবে, কারণ নূতন কিছুই নাই, যাহা আছে তাহা চিরকালই আছে, যাহা নাই তাড়া কোন काचे নাইট । মহাজনের স্কুল থেকে মাথা ঘামাইয়া কথার কেল্ল৷ তৈয়ার করে সূক্ষেন যায় ; আবার কেল্লাটিকে এমন ভাবে তৈয়ার করে যে বাহিরের শত্রু কেল্লা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকিতে পারে না। তবে কেহ কথার কেল্লা তৈয়ারি arau akananhat लश्व्नई অবশিষ্ট उरु } করিতে ইচছা করিলে পারে । এষ্ট ব্লকম অনেকেই আপনি আপনি কেল্লা তৈয়ার করিয়া লইয়াছে, কিন্তু এত করে ও রেহাই নাই, কেননা কেল্লার ভিতর যে সব ফৌজ থাকে, তারাই গোলমাল করে, কিন্তু তারা যতক্ষণ কেল্লার ভিতর থাকে, ততক্ষণ সবাই ঠিক, বাহিরে আসিলেই সর্বনাশ । অন্যের কেল্লা দেখিয়া নিজের কেল্লার অহঙ্কায়ে মত্ত হইয়া ফৌজে ফৌজে লড়াই করে, যদি ঠকাঠক হয়, তবে হাত পাভ_াঙ্গিয়া যে যার নিজের