পাতা:মিত্র-রহস্য - রায় বিহারী মিত্র.pdf/১৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈষ্ণব ও শাক্ত আচার। । እከሠዓ পিতা ! যদি আমার ঐ বিষয়ে ভ্ৰম হইয়া থাকে, কৃপা করিয়া তাহা ঘুচাইয়া দিন। পিতা,-তুমি যাহা বলিলে তাহা কতকটা ঠিক বটে, তবে বে। এক কালে হইতে পারে না, এ কথা কে বলিবে ? গৃহকে বন করিলে না হইবে কেন ? কিন্তু গৃহকে বন করা কত কঠিন ভাবিয়া দেখ। কথায় যদি কাজ হইত। তাহা হইলে আর বাধা কি ? কথাতে কথাই থাকে, যেমন কথকতা । কথায় যাহা বলিব, কাজে তাহা পরিণত করিব। শ্ৰী রামচন্দ্ৰ দশরথকে বলিয়াছিলেন যে আমি চৌদ্দ বৎসর বনে বাস । করিব, তিনি তাঁহাই করিয়াছিলেন ; কিন্তু যদি শ্ৰী রামচন্দ্ৰ বনবাসী না হইতেন তাহা হইলে এটা কথাতেই থাকিত । পুত্ৰ,-অবশ্য । পিতা,-দর্শন পড়িলে জানিতে পরিবে যে দার্শনিকেরা বন ও গৃহ কোন কথাই বলে না। তাহারা মনের অবস্থাকে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার করিয়া গিয়াছে, সেই বিচারগুলিকে যদি মুখস্থ করিয়া কথার লীলা কর, তাহাতে কাজ হইল না, খালি কথাতেই রহিল। পুত্ৰ,--অবশ্য । । পিতা,-দার্শনিকেরা যাহা বলিয়া গিয়াছে তাহা পড়িয়া শুনিয়া ও কাৰ্যক্ষম গুরুর নিকট ষাইয়া কাৰ্য্যে যদি পরিণত করিতে পাের, তাহা হইলে জানিবে যে গাহস্থ্যি আশ্রমে বৈষ্ণবাচার হয় না । গাৰ্হস্থ্য আশ্রমটা কেবল মাত্ৰ শাক্ত আচারীর পক্ষে, আর বানপ্ৰস্থ বৈষ্ণবের পক্ষে । শাক্ত আচারীর পক্ষে পঞ্চমকার গ্রহণীয়, আর বৈষ্ণৰ আচারীর পক্ষে বৰ্জনীয় ; ফলত গৃহী হইয়া যে পঞ্চমকারের উপাসক নয়। সে প্ৰকৃত গৃহী নহে। মধু, মৎস্য, মাংস, মুদ্রা, মৈথুন-গৃহী মাত্রেই ব্যবহার করিয়া থাকে। কামের উদ্রেক জন্য মধু, মৎস্য ও মাংসের প্রয়োজন; কামের