পাতা:মিত্র-রহস্য - রায় বিহারী মিত্র.pdf/২১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰেম-রহস্য । 9 ܘ ܓ বিলাতে যত দরখাস্ত হইয়াছে ও ভারতবর্যের রাজপুরুষদিগের নিকট হইয়াছে, ইহা সমস্তই ছাগলের ও বানরের দধি খাওয়ার মত। ইংরাজী শিক্ষিত ব্যক্তিরা এমন কাণ্ডটা করিয়া বিলাতের ও ভারতবর্ষের রাজপুরুষদিগের নিকট জানাইবে যে ইহাই যথার্থ ; কারণ ইংরাজী শিক্ষিত ব্যক্তিরা কি করিয়া বিলাতে কাৰ্য হয় ও ভারত রাজ শুরুষদিগের নিকট কি করিয়া খবর যায়, উহারা সবই জানে। রাজপুরুষেরা “পাবলিক ও পিনিয়ন” লইয়। কার্যা করে, রাজপুরুষেরা জানিল যে ইহাই ভারতবর্ষের অভাব এবং তাঁহাই করিল, কিন্তু “ডাস্ব মিলিয়ান” অর্থাৎ বোবা দশ লক্ষ যে সাফারার হইল, তাহ! তো রাজপুরুষেরা কিছুই জানিল না। যদিও ভারতবর্ষের রাজপুরুষেরা কতকটা জানিতে পারে, কিন্তু বিলাতের রাজপুরুষেরা কিছুই জানে না। ভারতবর্ণের যে ঢেউ রাজপুরুষের নিকট যায় তা হাট বিনাতের রাজপুরুষে বা ভারতবর্ষের “পাবলিক ও পিনিয়ন’ বলিয়া জানে, কিন্তু এইটি মহা ভ্ৰম । যােত দিন এই ভ্ৰমটী সংশোধন না হয়, ততদিন ভারতবর্ষে সকল বিষয়ে দুৰ্ভিক্ষ বাড়িবে। ইংরাজা শিক্ষিত ব্যক্তি রা অনেকটা রাজ কর ও অকাল সহা করিতে পারে, কারণ অশিক্ষিতের অপেক্ষ। উহাদের রোজগার অধিক । ইংরাজী শিক্ষিত ব্যক্তিগণ আমাদের দেশকে রাজপুরুষদিগের দেশের মত করিতে চায়, কিন্তু অশিক্ষিত লোকেরা ইহার হেপায় মারা পড়ে। ভারতে অশিক্ষিত লোকের সংখ্যাই বেশী ; বিলাত ও ভারতের রাজপুরুষদিগের কৰ্ত্তব্য যে অশিক্ষিত ব্যক্তিদিগের মতানুসারে চলা, কেননা অশিক্ষিত লোকের রোজগার অত্যন্ত কম ও দেশীয় সংস্কার অত্যন্ত বেশী। ভারতের অবস্থা যেরূপ হইয়াছে ইহাতে যদি রেলওয়ে, ন্যাভিগেসন, মাৰ্চেণ্ট, প্ল্যাণ্টার, মিলওয়ালা, পুলিশ বিভাগ ও ফৌজ বিভাগ অশিক্ষিত লোকদিগকে স্থান না দিত, তাহা হইলে প্ৰত্যহ দিনে চুরি, ডাকাতি বা খুন