পাতা:মিত্র-রহস্য - রায় বিহারী মিত্র.pdf/২২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ste at RRS ছিল। হাট, পথ, ঘাট, টােল, ঔষধালয়, চিকিৎসাশালা ও প্রস্তর নিৰ্ম্মিত আবাসসমূহ শোভা পাইতেছিল। পেমী পাগলিনী চিন্তামণির অন্বেষনে ঘুরিতে ঘুরিতে গণ্ড গ্রামে আসিয়া নৰ্ম্মদ তীরস্থ এক বটবৃক্ষতলে আশ্রয় লইল । পেমীর চেহারা উপরে মলিন কিন্তু অভ্যন্তরে নিৰ্ম্মল, পেমীর অন্তরের ও বাহাের বিপরীত ভাব, সেকারণ গণ্ড গ্রামবাসীরা তাহাকে বদ্ধ পাগলিনী বলিয়া স্থির করিল। যখন যুবা বৃদ্ধের পেমীর উপর এরূপ ধারনা, তখন বালক বালিকার পেমীকে পাগলিনী না ৰালিবে কেন ? দূর হইতে বালক বালিকার পেমীর অদ্ভুত মূৰ্ত্তি দেখিয়া কেহই সাহস করিয়া কাছে আসিতে পারিতেছে না, অগত্যা তাহদের ভিতর খুব ঠেলা, ঠেলীর সূত্রপাত হইল। বহুক্ষণ পরে একজন বালক সাহসে ভর করিয়া পেমীর পিছন দিকে টিপিয়া টিপিয়া উপস্থিত হইয় তাহার আঁচল ধরিয়া টানিয়া পশ্চাৎ দৃষ্টি না করিয়া এককালে উৰ্দ্ধশ্বাসে দলের ভিতর দৌড়িয়া গিয়া হঁপ ছাড়িল । তাহার গতি বিধি লক্ষ্য করিয়া অন্যান্য বালক বালিকারা তাহাকে কত কথা শুনাইল। কেহ বলিল,—তুই তার অচল ছুতে পারিস নাই ; কেহ বলিল, -- যদি আচিল, ধরিয়া টানিলি তা হলে পলাইয়া আসিলি কেন ? কেহ বলিল,-আমি হলে তার মাথার চুল টেনে আসিতাম। বালক দিগের কথায় সে আর কোন উত্তর করিল না, চুপকরিয়া থাকিল। তাহদের পেমীর সম্বন্ধে এরূপ কথা বৰ্ত্তা চলিতেছে এমন সময়ে আর একজন পেমীর দিকে চলিল ; কিন্তু অদ্ধেক পথ আসিতে না আসিতে বটবৃক্ষস্থ কাকগুলি কা কা করিয়া উড়িলে সে ভয়ে দৌড় দিল। তাহার অবস্থা দেখিয়া সকলে হাসিয়া উঠিল। আবার একজন সাহস করিয়া চলিল, ক্ৰমে-ক্রমে অগ্রসর হইয়া পেমীর মাথার চুল টানিল, পেমীর ভ্ৰক্ষেপ নাই, পাগলিনী একদৃষ্টে নৰ্ম্মাদার দিকে চক্ষু ফিরাইয়া_চিন্তাতে মগ্ন রহিল। ক্ৰমে ক্ৰমে , সকল