পাতা:মিত্র-রহস্য - রায় বিহারী মিত্র.pdf/২৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

粹 কৈলাস শিখর। ২৩১ ক্রিয়াকাণ্ডের পর জ্ঞানকাণ্ডে উঠিলে পথিক-জ্ঞানী সম্মুখে এত পথ দেখিতে পায় যে কোন পথে যাইলে পথিকের মনােবাঞ্ছা পূর্ণ হয়, তাহা ঠিক করিতে পারে না, বরং ভেবাচেকা খায়। জ্ঞানী তর্ক ধরিয়া সময় কাটাইতে থাকে ; কাল কাহারও খাতির রাখে না-বিড়ালের ইন্দুর ধরার মত লইয়া যায়। যে পথিক-জ্ঞানী হুসিয়ার হয়, সে তর্ক না করিয়া চােখ কাণ বঁজিয়া একটি পথ অবলম্বন করে অর্থাৎ ভক্তি পথাবলম্বী হয়। ভক্তি আসিলে বিশ্বাস, বিশ্বাসে কাৰ্য্য, কাৰ্য্যে সিদ্ধিলাভ, সিদ্ধিতে মুক্তি। ফলত সে সহজে জয়লাভ করিয়া অন্তে শান্তি ভোগ করে। দেখ নন্দি ! ভক্তি কি প্রকারে আইসে। ইহা ঠিক করিয়া বলিবার উপায় নাই, কারণ পাঁচ বৎসরের বালকে যে প্ৰগাঢ় ভক্তির পরিচয় পাওয়া যায়, শত বৎসরের মহাজ্ঞানী, মহাবৈজ্ঞানিক, বিদ্যাধ্যায়ী বা যোগাভ্যাসীতে সে ভক্তি দেখিতে পাওয়া যায় না । একের কৃপায় সব। এক মনে করিলে সূচের গৰ্ত্ত দিয়া অনন্ত জগৎ বাহির করিতে পারেন, কিন্তু পাগলিনী যতটুকু পরিসর সূচের গৰ্ত্তে থাকিবে ততটুকু মোটা সূতা এধার হইতে অন্যধারে বাহির করিতে পরিবে। সূচের গৰ্ত্তের চেয়ে সূতা মােটা হইলে আর পাগলিনী পরিবে না। জগচ্চিন্তামণি ও দেহ চিন্তামণি দার্শনিকদিগের ভাল। আমি লেখা পড়া বিহীন পাগলিনী, আমার কি সাধ্য যে জগচ্চিন্তামণি বা দেহ চিন্তামণিকে চিন্তা করি ? চণ্ডাল চিন্তামণি আমার চিন্তার বিষয়। তিনি কোথায় আছেন তুমি বলিয়া দিতে পাের ? নন্দী,-আপনি উপবাসিনী, অগ্ৰে আশ্রমে সেবা গ্ৰহণ করুন। কল্য প্ৰাতে আমি হর-গৌরীর সহিত আপনার সাক্ষাৎ করাইয়া দিব । পাগলিনী,-আচ্ছা চল । ভদানন্তর নন্দীর সমভিব্যাহারে পাগলিনী আশ্রমাভিমুখে চলিল