পাতা:মিত্র-রহস্য - রায় বিহারী মিত্র.pdf/২৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

fN R8dt উন্মাদিনী বাইতে যাইতে যাহা দেখে, তাহাই চিন্তামণি বলিয়া ধরে, আবার যখন বিষয় জ্ঞান আসে, ছাড়িয়া দেয়। একটী হরিণীকে চিন্তামণি বলিয়া ধরিয়া ক্ৰোড়ে লইয়া বলিল,--“আহা ! চিন্তামণির কি উৎকৃষ্ট চক্ষু ! কি কোমল অঙ্গ ! চিন্তামণি ! তুমি কথা কহিতে্যুছ না কেন ? রাগ করেছ ? আমি তো তোমায় কিছু বলি নাই ! ছি, রাগ করিতে আছে ?” এমন সময় হরিণী মুখ ব্যাদান করিল, উন্মাদিনী বলিল, “ক্ষুধা হইয়াছে ? বলনা চুপ করে রহিলে। কথা কহিবে না ? কথা কহিবে না ? কথা কহিবে না ?” এই বলিয়া হরিণীকে দূরে নিক্ষেপ করিল। এমন সময় এক অজগর হরিণীকে লক্ষ্য করিয়া চুপে চুপে আসিয়া উন্মাদিনীকে জড়াইল । “আহা ! চিন্তামণির আলিঙ্গন কি সুখকর ! কি স্নিগ্ধ!” এই কথা বলিতে বলিতে পাগলিনীর মূৰ্ছিা হইল। এই অবসরে অজগর আস্তে আস্তে পাক খুলিয়া লম্বা হইল। উন্মাদিনী ধড় মড় করিয়া উঠিল। “কৈ, আমার চিন্তামণি কৈ ? আমার চিন্তামণি কৈ ? আমার চিন্তামণি কৈ ?” তার পর একটী বন্য ষাড়কে দেখিয়া বলিতে লাগিল,-“আমার চিন্তামণি কি কুচকুচে কালি ! শরীর কি মোলায়েম ! চিন্তামণি, তুমি কোথায় গিয়াছিলে ? কথা কও ” এমন সময় বৃক্ষের ডাল হইতে পাখী ডাকিয়া উঠিল । “আহা ! চিন্তামণির কি সুমধুর স্বর, প্ৰাণ জুড়ায়। কৈ আর কথা কহিতেছ না, চুপ করে রহিলে, আমি চুপ করিলে কথা কহিবে ?” এই কথা বলিতে বলিতে পাগলিনীর আবার মুহুঁ হইল। এই বেলা ষাঁড় ধীরে ধীরে সিং নাড়িতে নাড়িতে বনের অন্য ধারে গেল। উন্মাদিনী চক্ষু উন্মীলন করিল। “কৈ আমার চিন্তামণি কৈ ? আমার চিন্তামণি কৈ ? বনদেবি ! যদি আমার চিন্তামণিকে না দাও। তাহা হইলে আমি এক্ষনেই তোমাকে ভষ্ম कब्रिग्रा cफलिद ।” বনদেবী,-ভগিনি ! আপনার চিন্তামণি তো আমার সিকীট নাই ।