ངེeརེ་ কথোপকথন-রহস্থত । আছে, সে বিষয়টি তোমাতে নাই, কিম্বা অপর মনুষ্যতে যে বিষয়টি থাকিতে পারে, তোমাতে সে বিষয়টি না থাকিতে পারে। বিষয়ের দরুণ ছোট ও বড়, অর্থাৎ গুরু ও শিষ্য। গুরু অনেক বিষয় জানে, শিষ্য অনেক কম জানে, কিন্তু কোন মনুষ্য সর্ব বিষয়গুলিকে জানিতে পারে না । মনুষ্য রূপান্তর হয়। বিহারী মিত্ৰ মনুষ্য, ইহার কারণ রূপান্তরের অধীন, অতএব যে মনুষ্য পদবাচ্য সে রূপান্তরের অধীন। জগতে অনেক বিষয় আবিষ্কার হইয়াছে ও হইতেছে ও হইবে, কিন্তু যেটী বিষয় নয়, সেটা কোন কালে বিষয়ীভূত হয় না। ফলত বিষয়ীভূত না হইলে কেহই জানিতে পারে না। এক বিষয়ীভূত নয়, ইহার কারণ কেহই জানে না । শিষ্য,—এক বিষয়ীভূত নয়, ইহা আপনি কি করিয়া জানিলেন ? পূর্ব হইতে আজ পর্যন্ত কেহ না জানিতে পারে, কিন্তু পরে কেহ না কেহ জানিতে পারে, যখন কাল অনন্ত পড়িয়া আছে। দেখুন গুরুদেব ! পূর্বে অনেক বিষয় আবিষ্কার হয় নাই, এখন হইতেছে ; ইহা বলিয়া সেইটী! কি বিষয়ীভূত ছিল না ? গুরু,-বিষয়ীভূত ছিল বলিয়া আবিষ্কার হইয়াছে, যদি বিষয়ীভূত না থাকিত, তাহা হইলে আবিষ্কার হইত না । মনুষ্য এক মণ ওজনের দ্রব্যকে তুলিতে পারে, কিন্তু এক মণ তুলিতে পারে বলিয়া শত মণ তুলিতে পারে না। একটী মনুষ্য অপর এক শত মনুষ্যকে হারাইয়া দিতে পারে; কেন পারে ? একটী মনুষ্য শিক্ষিত অপর এক শত অশিক্ষিত ; যদি ওজন তুলিবার ক্ষমতাটি মনুষ্যের ভিতর না থাকিত তাহা হইলে শিক্ষিত ও অশিক্ষিত থাকিত না, হার ও জিত থাকিত না, গুরু ও শিষ্য থাকিত না, বিদ্বান ও মুখ থাকিত না, রাজা ও প্ৰজা থাকিত না। এক বিষয়ীভূত নয়, ইহার কারণ কেহই জানিতে পারে না। ...তুমি জিজ্ঞাসা করিয়াছ “আপনি কি করিয়া জানিলেন এক বিষয়ীভূত
