পাতা:মিত্র-রহস্য - রায় বিহারী মিত্র.pdf/২৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কথোপকথন-রহস্য । ve পারে, যদিও নানা মুনি নানা রকম কহিয়াছে, কিন্তু কেহই এসিয়ার বাহির বলে নাই, এবং সিন্ধুনদীর পূর্ব কেহ কহে নাই। । প্রভুহর প্রথম ব্ৰাহ্মণ হন অর্থাৎ জ্ঞানী হন, এবং তিনি নিয়ম করিলেন, যে ব্যক্তি জ্ঞানের আলোচনা করিবে সে ব্যক্তি ব্ৰাহ্মণ বলিয়া কথিত হইবে, যে ব্যক্তি অস্ত্র ধারন করিবে সে ব্যক্তি ক্ষত্ৰিয় বলিয়া কথিত হইবে, যে ব্যক্তি ব্যবসা করিবে সে ব্যক্তি বৈশ্য হইবে, কিন্তু সকলেই আৰ্য বলিয়া অভিহিত হইবেক । প্রভুহরের আর একটী নাম ত্ৰিনেত্ৰ, কারণ তিনি প্ৰথম জ্ঞানের প্রচার করিয়াছিলেন, মনুষ্যের ভিতর কাহার ও ত্ৰিনেত্ৰ নাই, কিন্তু গুণ আহরণ করিতে পারিলে ত্ৰিনেত্ৰধারী হয়। প্ৰভুহরের ত্ৰিনেত্ৰীট জ্ঞানচক্ষু ব্যতীত আর কিছুই নয়। কুমারের পুতুলের উপর যে একটী বেশী করিয়া চােখ অাখে সেটি নয় জানিবে। প্রভৃহর প্রথমে আৰ্য ভাষা বাহির করেন, এবং প্রভৃহর আর্ঘ্য ভাষার উন্নতির দরুণ মহেশ ব্যাকরণ প্ৰস্তুত করিয়াছিলেন, যাহা এখন লোপ হইয়া গিয়াছে, তবে পানিনি ব্যাকরণ প্ৰণেতা স্বীকার করিয়া গিয়াছে যে, পানিনি ব্যাকরণ খানি মহেশ ব্যাকরণের গোষ্পদ তুল্য। প্ৰভুতরের আর একটী নাম মহেশ ইহা যেন মনে থাকে, তিনি মহা + ঈশ অর্থাৎ ঐশ্বৰ্য্যশ্বালী ছিলেন, ইহার কারণ সকলে প্রভুহরকে মহেশ বলিত। প্ৰভু হরকে মহাদেব বলে, কারণ প্রভুহর সকল দেবের অর্থাৎ আৰ্যের মধ্যে প্রধান হন। প্রভৃহর সংখ্যা বিশিষ্ট হইয়া প্ৰথম প্ৰকৃতি পুরুষের পথটিকে দেখান, যাহা মহর্ষি কপিল সাংখ্য দর্শন লিখিয়া ঠিক করিয়া গিয়াছে। মহর্ষি বাল্মীকি ও বেদব্যাস পরে সীতারামের ও রাধাকৃষ্ণের প্রত্যক্ষ উদাহরণ দিয়া জগতে প্ৰকৃতি পুরুষকে প্রচার করিয়া গিয়াছে। প্ৰকৃতি পুরুষ আগমে হরগৌরী বলিয়া কথিত, প্ৰভুহর ভূঙ্গিদের অর্থাৎ শ্বেতদের ও নন্দীদের অর্থাৎ কালাদের VoG