পাতা:মিত্র-রহস্য - রায় বিহারী মিত্র.pdf/৪০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Vrcovița-Ney r ബത്തി. ভূত, আছে, মানব সেই সমস্ত অন্য বিশেষ ভূত অপেক্ষা হিতাহির্ভ জ্ঞানের দরুণ শ্রেষ্ঠ। এই সব যুক্তিগুলিকে সূক্ষেম লইয়া তর্ক ' করিতে নাই, তাহা হইলে সব গোলমাল হইয়া যাইবে, কারণ তথায় বেদ নাই, লোক নাই, দেব নাই, যজ্ঞ নাই, বর্ণ ও আশ্রম নাই, কুল ও জাতি নাই, ধূম মার্গ ও দীপ্তি মার্গ নাই, জন্ম ও মৃত্যু নাই এবং কাৰ্য্য ও কারণ নাই, খালি এক আছে, অথবা যে যাহা কল অভে কিছু ক্ষতি নাই । প্ৰভু হৱ প্ৰথমে ত্ৰিগুণ বাহির করেন--তিনিই এক, একই তিন । তিনি দ্বি করিয়া আকার করিলেন, অর্থাৎ নিরাকারটিকে লোপ করিয়া সৃষ্টিখণ্ড বুনিলেন। কিন্তু ত্ৰি করিয়া গুণকে অর্থাৎ পুরুষকারকে আনিলে অ+উ+ম সন্ধি করিয়া ওম হয়, এই ওমই আৰ্য্যদের ভিতর প্রধান মন্ত্র বলিয়। কথিত এবং ইহাকে একাক্ষর কহে, অর্থাৎ তিনিই এক, একই তিনই। ব্ৰহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর এই তিনটি মানসিক নাম, খালি সূক্ষ্য গুণের দরুণ হয় । অকার-স্থিতি, উকার-প্ৰলয়, মকার - সৃষ্টি, অর্থাৎ সৃষ্টি, স্থিতি ও প্ৰলয় অথবা ভুঞ্জ, ভুবঃ, স্বঃ । ওমকে বেদশির কহে, কারণ সমস্ত বেদের মণ্ডলের বা অষ্টকের বা ঋচকের উপর ঋকে, একটী, দুইটা কিম্বা বহুটী। ইহাকে পবিত্র শব্দ কহে, কারণ আৰ্যদের সমস্ত পবিত্র ভাষার পুস্তকে ব্যবহার হয় এবং ওমািটকে পবিত্র লোকে উচ্চারণ করিতে পারে, অপবিত্ৰ লোকে পারে না, ইহার কারণ যাহাঁদের যজ্ঞোপবীত আছে, তাহান্নাই পারে, অন্যে পারে না । শূদ্র যজ্ঞোপবীত ধারণ করিতে পারে মা, থািকৎ, সংস্কার হইলেই পাৱিবে । যজ্ঞোপবীত প্ৰস্তুত করিতে হইলে, স্ত্রীলোকের দ্বারা উরাখের লেষে করান বিধেয়। প্ৰথম সূত্রটি তিন গুণে এক একটি ;