পাতা:মিত্র-রহস্য - রায় বিহারী মিত্র.pdf/৭৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সতী । هq\&9 দ্বারা বিষয়ীভূত করিয়াছিল, তাহা সবই কৃষ্ণময় ফলত যখন রাধিক কৃষ্ণময় হইল, তখন বিকৃতি হইয়াও স্বরূপিণী নাম ধরিয়া একতাগুণে প্ৰকৃতি হইল অর্থাৎ সতী বনিল । প্ৰত্যেক নিয়মে একটি করিয়া ব্যতিক্ৰম আছে। যাহা প্ৰকৃতি তাহা পূজনীয়া, ফলত সতী। রাধিক অসতী হইলে অন্য সকলেই দুঃছাই করিত, কিন্তু রাধিকাকে সকলে পূজা করে, কারণ রাধিকাতে বিকৃতিভাবের লক্ষণ আদৌ নাই । সব সৎ হয়,-যদি সব সৎ তাহা হইলে আবার অসৎ কোথা হইতে আইসে ? আবার যদি অসৎ সব হয়, তাহা হইলে সৎ কোথা হইতে আইসে ? অতএব সৎ ও অসৎ বাস্তবিক একের লীলা খেলা হয়। সংসারে নিয়ম ব্যতীত চলিবার উপায় নাই, তবে সাধারণ ও বিশেষ নিয়ম আছে, কিন্তু বিশেষটিকে বৈশেষিক ব্যাপারে ব্যবহার করিতে শিখিলে সব গোলমাল ঠিক হইয়া যায়। অহল্যা, দ্রৌপদী, কুন্তী, তারা ও মন্দোদরী এই পাঁচটা নারীর নাম প্ৰত্যহ সকাল বেলা উচ্চারণা করিলে স্ত্রীলোক সদ্য নিষ্পাপ হয়, কারণ পাঁচটা নারীর গর্ভে পঞ্চ পাণ্ডৰ, ইন্দ্ৰজিৎ ও কর্ণাদি জন্মগ্রহণ করিয়াছিল । তেজী ব্যক্তিতে দোষ নাইষে গর্ভে তেজী ব্যক্তি জন্মগ্রহণ করে সে গর্ভটি কুসংস্কার দোষে দোষান্বিত থাকিলেও আদরণীয় । সত্যবতী। যদি অবিবাহিত অবস্থাতে না। সহবাস করিত, তাহা হষ্টলে বেদান্ত, মহাভারত ও পুরাণাদি কি হইত ? তবে এই প্রকার দোষগুলি সংসারের ভিতর বিশেষ নিয়ম বলিয়া কথিত--- সমস্ত গুণরাশির ভিতর যদি একটু দোষ থাকে, সেটা ঠিক চাঁদের কলঙ্কের মত হয়। চাঁদ আছে এবং কলঙ্ক আছে, কিন্তু চাঁদে কলঙ্ক নাই, - স্ত্রীলোক আছে এবং কলঙ্ক আছে, কিন্তু স্ত্রীলোকে