পাতা:মিত্র-রহস্য - রায় বিহারী মিত্র.pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कांभिी 'G कथन । ܕܣ বপন করিলাম, কিন্তু সামাজিক বিবাহের নিয়মানুসারে ফসলগুলি স্বামীর হইল । আরো দেখ-যন্ত মুনি ও ঋষি আছে, শুকদেব ব্যতীত সকলেই কামিনীকে সেবা করিয়া থাকে। প্ৰত্যেক আইনে একটি করিয়া ব্যতিক্রম লক্ষিত হয়। শাস্ত্রকারের একজনের সুখের জন্য-সাধারণ জনকে, দুঃখী করে না । প্ৰেম প্ৰথমে কামিনীর নিকট হইতে শিক্ষা করিতে হয়, কারণ কামিনী সকল ইন্দ্ৰিয়ের সুখদায়িনী। তথাপি পৃথিবীতে কয়টি প্রেমিক আছে ? প্রায় সকলেই কামুক হয়। যদি এত সুখেতেও প্ৰেম না হয়, তাহা হইলে কি করিয়া সেই অতি শুষ্ক প্ৰেমটি হইতে পারে ? বাস্তবিক পক্ষে প্ৰেমটি স্বৰ্গীয়। যখন আমি যোগাভ্যাসে ছিলাম। তখন আমি নিজেকে মহাপণ্ডিত স্থির করিয়া কামিনীকে ও কাঞ্চনকে ত্যাগ করিয়া “এক ব্যতীত দ্বিতীয় নাই” এই বুলিটিকে ধরিয়া গাঁজাখোরের মাথার উপর চড়িয়া এবং অহঙ্কারে মত্ত হইয়া দৃশ্য জগৎকে টুকরা করিতে করিতে অদৃশ্য জগতে গিয়া উপস্থিত হইয়া তথার দেখিলাম নেতি- ! আবার নেতি বুলিটিকে ধরিয়া টুকরা করিতে করিতে অবশেষে অস্থির হইয়া পড়াতে আমার মাথাটি বেঁ। বেঁা করিয়া ঘুরিতে থাকিল। প্ৰাণ যায়। এরূপ অবস্থা হওয়াতে, জলমগ্ন মানবের খড়ের আশ্রয়ের মত ব্ৰহ্মকে ধরিলাম। স্পর্শমাত্ৰতেই জ্ঞানোদয় হইয়া দেখিলাম তিনি হাসিতে হাসিতে আমায় বলিতেছেন,-“ব্যাস তুমি অনেক দূর আসিয়াছ, যদি আরো বহুতর বৎসর অগ্রসর হও তথাপি তথায় পৌছিতে পরিবে না। তিনি তোমার শোচনীয় অবস্থাটীকে দেখিয়া । আমাকে পাঠাইয়া দিলেন এবং তিনি বলিয়া দিলেন যে * ব্যাসকে বলিবে “যাহাকে সংজ্ঞা ধরিয়া সংজ্ঞােলাভ হইয়াছে সে মায়া -कभिनी।' অতএব কামিনীর উপাসক হইয়া বাক চতুৰ্য্যটিকে ছাড়িয়া দিয়া