বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মিত্র-রহস্য - রায় বিহারী মিত্র.pdf/৮৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শতদলবাসিনী। ь”эх নিয়মাধীন হইলেই কস্মিষ্ঠ হয়, কস্মিষ্ঠ হইতে হইলেই পুরুষকারের আবশ্যক হয়, ৰাস্তবিক পুরুষকার করিতে হইলেই নিয়মগুলিকে প্ৰতিপালন করিতে হয়, অতএব আকারান্বিত হইলেই নিয়মে থাকিতে বাধ্য । শতদলবাসিনী--আমি তোমাকে কত কি বলিতেছি, বোধ হয়, তুমি আমার উপর রাগ করিতেছ—তুমি দেহধারিণী, প্ৰসবিনী ও কত্রিী ঠাকুরাণী, ইহার কারণ আমি তোমাকে বলিতে বাধ্য-দেহে ভোগ না থাকিলে শান্তি কোথায় ? যদিও ভোগে ভোগ বাড়ে, কিন্তু ভোগ শেষ না হইলে শান্তি আসে। না, অতএব নিয়মের উপর ভোগটিকে শেষ করা বিধেয় - যদি তুমি পঙ্গপাল। লয়ে ফের, তাহা হইলে শ্ৰীটী কি করিয়া হয় ? শতদলবাসিনী,-নিয়ম ব্যতীত কি শ্ৰী থাকে, না শ্ৰী ব্যতীত ভোগ হয়, না ভোগ ব্যতীত আনন্দ হয়, - তুমি আনন্দময়ী হইয়া আগে কি সুন্দর আনন্দ দিতে, কিন্তু উপস্থিত কেন তোমাতে অন্য প্রকার ব্যবহার দেখি-তুমি যখন “দেহধারিণী তখন তুমি সাকারারূপিণী, ফলত তুমি নিয়মের বশবৰ্ত্তিনী। আগে তুমি ইসারাতে কাৰ্য্য করিতে, এখন তুমি উল্টা বুঝ কেন, আর অর্থ উল্টাইয়া কর কেন ? যাহা কিছু বলি তাহা সমস্তই সংসারের নিয়মের দরুণ, তবে যদি ফাঁকি ধর, তাহা হইলে নাচার-তুমি যে ভাগ্যবতী বলিয়া কথিত, তুমি আছ বলিয়া ভাগ্য আছে, ভাগ্য আছে বলিয়া নিয়ম আছে, নিয়ম আছে বলিয়া দেহ আছে, আর দেহ আছে বলিয়া আকার আছে, ফলত তুমি । দেহধারিণী, প্ৰসবিনী ও কত্রীঠাকুরাণী । আকার হইতে দেহ হয়, দেহ হইতে জাতি হয় এবং জাতি হইতে বিশেষ ধৰ্ম্ম অৰ্থাৎ জাতি ধৰ্ম্ম হয়, এবং এই জাতি