পাতা:মিত্র-রহস্য - রায় বিহারী মিত্র.pdf/৮৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"সাধু গোকুল মিত্ৰেয় জীবনী গোধন রক্ষিতে ‘যায় দুৰ্গম কানন । সঙ্গে সঙ্গে ধীনে তার মদন-মোহন ৷ মাঠে গিয়া,শ্ৰীশু যিবে চরায় ‘গোধন । মস্তক উপারি। তার প্রখর । তপন ৷ কাতর হইয়া এবে বৃক্ষতলে বসে। ঢুলিয়া পড়িল শিশু ঘুমের আবেশে ৷ অকাতরে নিদ্রা যায় বালক রাখাল । কোন দুঃখ নাহি তায় নাহিক জঞ্জাল ৷ বৃক্ষ পত্র ভেদ করি ভানুর কিরণ । আসিয়া লাগিল তার মস্তকে যখন ৷ মদন-মোহন রক্ষী সাথে গিয়াছিল । ফণাধারি সপ হইয়ে শির আচ্ছাদিল ৷ ( হেথায় ) অবসান হইল বেলা ভাবিছেন ব্ৰাহ্মণ । রাখাল লইয়ে এখন না এলো গোধন ৷ সর্বনাশ হইল। ব’লে মনে মনে গণে । প্ৰবেশ করিল ব্রাহ্মণ দুৰ্গম কাননে ॥ নানা জাতি বন-জন্তু এই বনে আছে। কি জানি রাখালে আমার ধরে খায় পাছে ৷ চঞ্চল হইয়া দ্বিজ চারি দিকে চায় । ধুলায় ধূসর তারে দেখিবারে পায় ৷ সপ আচছাদিত দেখি বড় ভয়ঙ্কর । ফণা বিস্তারিয়া আছে যমের দোসর ৷ ‘রাখাল’ বলে দূরে হতে ডাকিতে লাগিল । চমকিয় উঠে রাখাল ব্ৰাহ্মাণে দেখিল ৷