পাতা:মিবার-গৌরব-কথা - হেমলতা দেবী.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মিবার-গৌরব-কথা

অনুগমন করিলেন। দুর্গের দ্বারদেশে পদার্পন করিবামাত্র আলাউদ্দীনের সঙ্কেতে ভীমসিংহ বন্দী হইলেন। ভীমসিংহকে বন্দী করিয়া আলাউদ্দীন সংবাদ পাঠাইলেন, “পদ্মিনীকে না পাইলে ভীমসিংহের এবং চিতোরের রক্ষা নাই।” এ বার্ত্তা শ্রবণে চিতোরপুরী ক্রন্দন করিয়া উঠিল! বীরগণ দন্তে দন্তে ঘর্ষণ করিয়া উঠিলেন। কিন্তু বৃথা অক্রোশ! ভীমসিংহ দুর্দ্দান্ত আলাউদ্দীনের হস্তে বন্দী! বীরগণ কিংকর্ত্তব্যবিমৃঢ় হইলেন! এই সময়ে পদ্মিনীর নিকট হইতে সংবাদ আসিল “আমি আমার সমুদায় সঙ্গিনী ও পরিচারিকা সমভিব্যাহারে আলাউদ্দীনের নিকট আত্মসমর্পণ করিব-এ বার্ত্তা শীঘ্র শত্রু শিবিরে প্রেরণ কর।” সহরবাসী এই অশ্রুতপূর্ব্ব বাণী শ্রবণে স্তম্ভিত বিস্মিত হইল বটে, কিন্তু অনুভব করিল নিশ্চিত ইহার অভ্যন্তরে কোন গুঢ় রহস্য লুক্কায়িত আছে।

 পদ্মিনী সতী তাঁহার পরমাত্মীয় বীরবর গোরা এবং তদীয় ভ্রাতুষ্পুত্র বাদলের সহিত গুপ্তকক্ষে মন্ত্রণা করিয়া, সপ্তশত পট্টাবৃত শিবিকা প্রস্তুত করিতে আদেশ করি লেন। আলাউদ্দীনের নিকট সংবাদ গেল, রাজমহিষী পদ্মিনীর সঙ্গিনী ও দাসীগণ তাঁহার সহিত চিরনির্ব্বাসিতা হইতে প্রস্তুত। সাতশত শিবিকায় তাঁহারা