পাতা:মিবার-গৌরব-কথা - হেমলতা দেবী.pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
হামিরের জননী কৃষকবালা।
১৫

 কৃষকবালা বলিল-“মহাশয়, আর ওদিকে যাইবেন না, বরাহ কোন দিকে গিয়াছে আমি দেখিয়াছি,— আপনারা অপেক্ষা করুন, আমি বরাহ ধরিয়া দিতেছি।” রাণা এবং তাঁহার বন্ধুগণ অবাক হইয়া কৃষকবালার মুখের দিকে চাহিয়া রহিলেন। বালিকা তৎক্ষণাৎ ক্ষেত্র হইতে একটি জনারগাছ তুলিয়া অস্ত্র দিয়া তাহার অগ্রভাগ তীক্ষ্ণ করিয়া লইল এবং মঞ্চের উপর দাঁড়াইয়া বরাহকে লক্ষ্য করিয়া সেইটি ছুঁড়িল। অমনি বরাহ বিদ্ধ হইয়া মাটীতে পড়িল। সকলে আসিয়া আশ্চর্য্য হইয়া জনার আহত মৃত বরাহকে দেখিতে লাগিল। রাণা কৃষকবালার অব্যর্থ লক্ষ্য দেখিয়া মনে মনে শত সাধুবাদ করিতে লাগিলেন। মৃগয়া শেষ করিয়া রাণা ও তাঁহার বন্ধুগণ নদীতটে বসিয়া বিশ্রাম করিতে লাগিলেন। রাণা বারম্বার কৃষকবালার কথা বলিতে লাগিলেন। এমন সময় হঠাৎ একটি মৃত্তিকা পিণ্ড আসিয়া অরিসিংহের অশ্বের পায়ে সজোরে লাগিল। অশ্বটি তৎক্ষণাৎ পড়িয়া গেল। সকলে কারণ অনুসন্ধান করিতে গিয়া দেখেন, মাচার উপর দাঁড়াইয়া কৃষকবালা পশুদিগকে প্রস্তর খণ্ড দ্বারা তাড়াইতেছে। তাঁহারই হস্ত নিক্ষিপ্ত একটি মুৎপিণ্ড আসিয়া অরিসিংহের প্রকাণ্ড অশ্বটিকেও ধরাশায়ী করিয়াছে