পাতা:মিবার-গৌরব-কথা - হেমলতা দেবী.pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭৬
মিবার-গৌরব কথা।

মাগো! রাজপুতকন্যাত জীবন বিসর্জ্জন দিবার জন্যই জন্মগ্রহণ করে। তবে যে আমি এত দিন এত সুখে তোমাদের ক্রোড়ে অতিবাহিত করিয়াছি ইহাই আমার পরম সৌভাগ্য! আজ আমার জীবন সার্থক যে আমার জীবন দিয়া পিতাকে বিপদমুক্ত করিতে পারিলাম। এ সৌভাগ্য কয় জনার ভাগ্যে ঘটে। তোমার গর্ভে জন্মিগাছি বলিয়াই আজ প্রসন্নমনে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করিতেছি। জননী আমার শেষ অনুরোধ রক্ষা কর—শোক করিও না, পিতাকে অভিসম্পাৎ করিও না। আমার পিতৃকুলের কল্যাণ হউক এই প্রার্থনা করি। বিধাতার নিয়তি পূর্ণ হইল আর শোক করিওনা জননি।” কৃষ্ণার মাতা শোকে উন্মাদিনী হইয়া অনশনে প্রাণত্যাগ করিলেন। কৃষ্ণার বিনাশের জন্য অবশেষে হলাহল প্রস্তুত হইল! এক পাপীয়সী বিষভাণ্ড লইয়া কৃষ্ণার হস্তে দিল। কৃষ্ণা অকম্পিত হস্তে হাস্যমুখে সে গরল পান করিল। কি আশ্চর্য্য, সে বিষপান করিয়াও কৃষ্ণার দেহের কোন বিকারই উপস্থিত হইল না। তৎপরে ক্রমান্বয়ে তিনবার বিষ প্রস্তুত হইল! কিছুতেই কৃষ্ণার মৃত্যু হইল না! একি! দৈব আজ কি তাহার রক্ষার জন্য সকল আয়োজন ব্যর্থ করিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ? কিন্তু দুরাচার পাষাণ হৃদয় ভীম সিংহ নিরস্ত