বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মিশরযাত্রী বাঙ্গালী - শ্যামলাল মিত্র.pdf/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| 8 মিশরষত্রেী বাঙ্গালী । চতুর্দশ পরিচ্ছেদ । মিশৱ পরিত্যাগ । আমাদের দুঃখের দিন ক্রমে শেষ হইয়া আসিল । পরমেশ্বর হুঃখী মিশরযাত্রিগণকে এইকালে এক অভাবনীয় উপায়ে কাপ্তেন টার্নবুলের নির্মম হস্ত হইতে রক্ষা করিলেন। ঈশ্বর জানেন কি জন্ত কাপ্তেনের বিবি ই হাহইতে স্বতন্ত্র বাস করিতেন । কিন্তু এ সম্বন্ধে জনরব যাহা ঘোষণা করিত তাহাতে টারনবুলের নিষ্ঠুর প্রকৃতিতে আরও গাঢ় কলঙ্ক ঢালিয়া দিয়াছিল। যাহা হউক এই সময়েই তথায় কাপ্তেনের স্ত্রী আসিয়া উপস্থিত হন। অনেকদিনের পর পরম্পর পুনর্মিলিত হইয়া উভয়ের হৃদয় যেন গলিয়া এক হইয়া গেল। রমণীর কোমলতা কাপ্তেনের কঠিন প্রাণকেও একটু কোমলতর করিয়া তুলিল। আমরা অবিরত যে নিষ্ঠুরতায় পেষিত হইতেছিলাম, ঐ দয়াময়ী রমণীর শুভাগমনাবধি তাহার অনেক শমত হইয়া আসিল। এই আকাশ ঘোর তমসাচ্ছন্ন হইয়াছে, মুহুর্ভে মুহুর্তে বিদ্যুৎ চমকিয় মর্ত্যবাসীর হৃদয় কম্পিত করিয়৷ তুলিতেছে, অন্ধকারে কিছুই নয়নগোচর হইতেছে না, জাবার ক্ষণপরেই দেখি এ সকল ভীম শক্তি এক মহাশক্তিতে লয় পাইয়াছে। যে গগনে ক্ষণপূৰ্ব্বে অন্ধকার ও অশান্তি বিরাজ করিতেছিল, তথায় মুহূর্ত পরে দেখিতে পাই পূর্ণচন্দ্র বিমল কিরণে বিরাজিত হইয়াছেন এবং আপন মনোরম দিক রশ্মিতে জগালিগণের হৃদয়ে শাস্তি, স্থখ ঢালিয়া দিতেছেন। কাপ্তেন টানবুল আপন মনোরম সহধৰ্ম্মিণীসহবাসে মুখে উপকূলের নাম স্থানে বিচরণ করিতে লাগিলেন। আমরাও কিছুকাল উছার অত্যাচার হইতে মুক্ত হইলাম।