উদাসীন পথিকের মনেব কথা Ֆ ՀVՖ কেনী বলিলেন, “জকি গাড়োয়ান কে ?” একে বলিতে দশজনে বলিয়া উঠিল, “হুজুরেরই চাকব—গরুর গাড়ীর কাজ করে । হুজুরের বহুদিনেব চাকব, এ বাড়ি-ঘরদের সকলি হুজুরের, হুজুরই সকলেব মালিক ।** সাহেব অন্যদিকে ফিরিয়া একটি ফাক অ ওয়াজ কবিলেন । ময়না জকির ঘরেব মধ্যে পলাইল । ছোট ছোট ছেলেমেযের হাউ মাউ কবিয়া কাদিয়া উঠিল । কেনী পীববকসের হস্তে বন্দুক দিয়া অশ্বে আরোহণ কবিলেন। অশ্ব শান্তভাবে চলিতে লাগিল। নীলজমি দেখা আজিকার মত এই পর্যন্ত শেষ হইল। কিন্তু অকারণে দুই-তিনজন কুলীকে চাবুক সই কবিঘা কুঠির দিকে ফিবিলেন। আপিস ঘরের সম্মুখে আসিযা হরনাথ শ্ৰী মিশ্র ( নাযেব ), শম্ভুচরণ সাহাল ( দেওয়ান ) প্রভৃতিকে কটু কথায় কযেকটি কথা কহিয়া গরমভাবে বলিলেন, “যাহা যাহা বলিয়াছিলাম, তাহাব কি করিয়াছ ? সঁওতাব মীবসাহেবের নিকট পত্র লিখা হইয়াছে ?” হবনাথ বলিলেন— “ধৰ্ম্মাবতব ! কোন বিষযে ক্রটি নাই । পত্র লিখা হইয়াছে, কেবল হুজুরেব সহি বাকি।” কেনী অশ্ব হইতে না নামিতেই তিন-চাবিজন আমলা ব্যস্তসহকারে ঘোড। ধবিলেন । “কৈ । সে পত্র কৈ ?” সান্তাল মহাশয় পত্র হাতে কবিঘাট দাডাইমাছিলেন । আপিস ঘরের সম্মুখেই পত্র সহি হইল, তখনি সাওতায় লোক বওনা হইল। কেনী বলিলেন – “জকি গাড়োয় নেব বাড়িতে একটি পোষাপাখি আছে, আমি সেই পাখিটা চাই ।” এইকথা বলিয়াই বাসঘরের দিকে যাইতে লাগিলেন। কিছুদূর যাইয়া পুনরায় ফিরিয়া বলিলেন, “জকি যে দাম চাহে, সেই দামই দিব। সকের জিনিস জবরাণে লইব না। তোমরাও জবরদস্তি করিয়া আনিও না ।” এই কয়েকটি কথা যেন হৃদয় হইতে কহিয়া চলিয়া গেলেন।