Y\9e মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্ৰহ প্যারীসুন্দরীর নাম কালে শোনা –শেষের কথাটা বোধহয়, স্পষ্টভুবেই সকলের কানে গেল। “বেত আর টুপী—আবার উহা লইয়াই জাহাজে চড়িৰ।” অনেকে অনেক অর্থ ঘটাইলেন। প্রায় একঘণ্টা কাল উভয়ের আলাপ হইল । কেনী যাইবার সমযে, আব কযেকটি কথা চুপি চুপি মীরসাহেবকে কহিয়া হাতিতে উঠিলেন। গতিতে উঠিতে উঠিতে আবার বলিলেন, “ভুলিবেন না, ফেব বলিতেছি, ভুলিবেন না ।” পুনরায় উভয় উভয়কে সেলাম দিয়া কেনী দক্ষিণমুখী হইলেন । মীরসাহেব উত্তরমুখি হইয়া বাড়ির দিকে আসিতে লাগিলেন । গুপ্ত দর্শকগণ মীরসাহেবকে আসিতে দেখিয় আমবাগান হইতে, নানা পথে ছুঠিয়৷ মীরসাহেবের অগ্রেই বৈঠকখানা ঘরে প্রবেশ করিয়া আপন আপন স্থান অধিকার করিয়া বসিলেন । মীর সাহেবও ধীবে ধীরে আসিয। আপন ঘবে প্রবেশ করিলেন। মজলিস আবার জমাট বান্ধিয় গেল । কথা চলিতে লাগিল । মীর সাহেব বলিলেন, ধন্ত বাঙ্গালীর মেয়ে । সাবাস সাবাস ! সাহেবকে একেবারে অস্থির করিয! তুলিয়াছে। সাহেব এতদিন সকলকে যেরূপ জালাতন করিয়াছেন, তাহার প্রতিশোধ বুঝি প্যারাগুন্দরীর হাতে হয়। প্যারাসুন্দরী সাহেবের ধনে প্রাণে সারা করিতে স্থির হইয়া বসিয়াছে ! আবার কুঠি লুট কবিবে। কেনীর মাথা কাটিয়! লইয়া যাইবে । মেমসাহেবকে ধরিয়া লইয়া গিয়া দাসী বানাইবে, প্রতি জ্ঞা করিয়াছে। সাহেব না কি এই সকল কথা, উহার কোন বিশ্বাসী লোকের নিকট শুনিয়াছেন । শুনিয়া মহা ব্যস্ত হইরাছেন। ব্যস্ত হুইবারই কথা । হাজার লোক সংগ্ৰহ করিয়া কুঠিরক্ষা, আত্মরক্ষা, মেমসাহেবকে রক্ষা করিবার উপায় করিয়াছেন । ধন্য—প্যারীসুন্দরী। এতবড় মোকদ্দমা মাথার উপরে, তার উপবেও এত সাহস ! এত জেদ ! এতদূর ੱi ) অনেক কথাবার্তার পর সময় বুঝিয়া দেবীপ্রসাদ বলিলেন, হুজুর থাকের মকসাটা দেখা নিতান্তই আৰশুক হইতেছে। কি কুক্ষনেই যে, আসা আলীর সহিত স্বৰ্গীয় বুদ্ধ মীরসাহেবের বিবাদ বাধিয়াছিল। আজ পর্য্যস্ত সমানভাবে চলিতেছে। দুই পুরুষ যায়। তবু বিবাদের শেষ হইল না। কত পুরুষ α झरे