পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/২৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উদাসীন পথিকের মনের কথা ২৩৩ লাঠিয়ালের বাহির করিয়া সঙ্গিয় বাহকগণের মাথায় দিয়া ডাক ভাঙ্গিতে ভাঙ্গিতে কাছারিঘরের বাহির হইয়া পঞ্চাশজন সদাব সঙ্গে দিয়া টাকা কুঠিতে পাঠাইয়া দিল । অবশিষ্ট দুইশত লাঠিয়াল কাছাৰ্বির অন্য অন্য ঘরের জিনিস পত্র লুটপাট কবিয লইতে লাগিল ৷ বাম সিং প্রভৃতি সর্দাবদিগকে লাঠিব আঘাত, সড়কির গুতায় জাগাইয়া তুলিল । সকলেই নিদ্রাব ক্রোডে অচেতন । গুত। খাইয়। থতমত হইযা উঠিয়া পডিল। কিন্তু কেহই কিছু কবিতে পাবিল না । বাবাজি ঘরেব সকল জিনিস জোবে জোরে বাহিব কবিয়া আনিয়া লাঠিয়ালদিগেব সম্মুখে বাখিতে লাগিল । কাছাবি লুট কবিয়া লাঠিযালের দলবদ্ধ হইয কাছাবিব সম্মুখ-সীমায মশাল জালিয়া ক্ষণকাল দাডাইয ডাক ভাঙ্গিতে লাগিল । কাছাবির কোন লাঠিযাল অব অগ্রসব হইল না । কে কোথায পালাই যাছে তাহার সন্ধান নাই। সাহেবেব লাঠিয়ালেব! অনেক ঠাট-বিদ্রুপ এবং গালিগালাজ দিয়া মশাল জালিতে জালিতে চলিয়া গেল । শেষে বাম সিং, হকুমান সিং, বেতবন হইতে বাহির হইয়। “ক্যা হুয। ক্যা হুয়া” কবিয নাযেব মহাশয়ের বন্ধনদশা মোচন করিল। আর অব সকলে যাহাবা পলাই যাছিল, কেহ লাঠি, কেহ সড়কি-হস্তে আসিযা মহা-ধুমধাম আরম্ভ কবিয়া দিল । “কোথা গেল, সাহেবের লাঠিয়ালরা কই ? এক চোটে ফযেব কবিব । কই কোথা গেল” বলিযা আপন আপন মৰ্দ্দামী দেখাইতে লাগিল । নায়েব মহাশযেব মুখে কথাটি নাই । তাহাব নিজের বাক্স, পেটরা, থালা, ঘটী বাট যাহা ছিল সকলি গিয়াছে । দেখিলেন বৈরাগীব ঝোলা, খনজনী সকলি পড়িয আছে । নানা প্রকাব মতলব, পবামর্শ সাটিতে অঁাটিতে পূৰ্ব্বদিক ফর্সা হইয়া প্রভাত বায়ু বহিতে লাগিল । ভৈরববাবুব কাছাবি লুট এই পৰ্য্যস্ত শেষ হইল । অষ্টাবিংশ তরঙ্গ টাকা নয়— খাপরা রাত্রি প্রভাত হইয়া গেল। সাহেবের লাঠিয়ালেব যে পথেই চলিল, সূৰ্য্যদেব সকলকেই দেখাইলেন যে, ভৈরববাবুর কাছারি লুট করিয়া চোদ্দ তোড়া টাকা লইয়া চোদ্দ জন মুটিয়া এবং ঢাল-সডকি কোমর বান্ধা লাঠিয়ালের ত্রস্থপদে মার মার কাটকাট শব্দে পথ জাকাইয়া চলিয়াছে। ষে দেখিতেছে সেই বলিতেছে যে, ভৈরব