উদাসীন পথিকের মনের কথা ૨૭૭ শুনিয়া লই । বড়কঠিন স্থানে আসা হইয়াছে। মানবজীবনে—নবজাৰন। বড়ই কঠিন ব্যাপার। কি যে ঘটবে, প্রজার ভাগ্যে কি ঘটবে, তাহা সেই অন্ত:ধর্মী ভগবানই জানেন । বঙ্গেশ্বর অন্তই পাবনা ছাড়িবেন। পাবনার বর্তমান-ঐ সোনামুখীর ধুম উদগীরণ সহিত একেবারে বিশ্ৰী হইয়। যাইবে । আর কেন ? আগমনে যোগ আনন্দকর—বিদায়ে যোগ বডই দু:খকর—চলুন ! আর এখানে থাকা নয়। পঞ্চত্রিংশ তবঙ্গ মনের কথা পাঠক ! আমিও বলিতেছি মনের কথা—আপনারাও শুনিতেছেন উদাসীন পথিকের মনের কথা । এখন প্রাণ ভবিয়া একবার প্রজার কথা শুকুন। এ কয়েকদিন তাহারা কি বুঝিল, কি পাইল, ঐ শুমুন অকপটে যনের কথা প্রকাশ করিতেছে। কান পাতিয়া শুনিতে শুনিতে উহাদের সঙ্গে সঙ্গে চলুন। অধমও সঙ্গেই আছে । প্রথম প্রজা : ভালই হল ! পদ্মাপাড়ি দেওয়ার দায় হইতে রক্ষা পেলেম । বঁচি গেল। কুঠির নিকটেই মহকুমা হৰে। হাকিম থাকবে। যখন যাহা হবে তখনি হাকিমকে জানাইতে পারিব। প্রাণটি হাতে করে পদ্মাপাড়ি দেওয়ার দায় হইতে তো বাচা যাবে। দ্বিতীয় প্রজা : হলে তো ভালই হয় । ভায়া! না হলে আর বিশ্বাস নাই । প্রথম : ভায়া ! তা কি আর না হয়ে যায় ? একি তোমার আমার কথা না—বড়লোকের কথা? ভায় ! এ সাহেব-স্থবোর কথা। এ-কথার মার নাই। দ্বিতীয় : তাতে বটে। তোমার আমার কথাটা যেন ভাল করে না বুঝেই বললেন যে বুঝেছি। আর ভায়া ! কষ্টের জীবনে, অনাটনের সংসারে, স্বার্থের প্রয়োজনে, বিশেষ কন্যাদায়ে এবং অল্পচিস্তায় আমাদের কথা ঠিক থাকে না । থাকিতে পারে না, আমরাও কথা ঠিক রাখিতে পারি ন—ত। ঠিক। কিন্তু বড়লোকের কথাটা কি রকম ? প্রথম : ভায় হে ! রকম আর কিছু নয়। বড়লোকের সকলই বড়, দান বড়, কৃপণতা বড়, মান বড়, অপমান বড়, গলাও কড়, কথাও বড়। যেখানে বড় কথা, সেইখানেই গোলের কথা। ওকথাও বড়লোকেরই কথা। কিন্তু সে মুখ