উদাসীন পখিকেৰ মনের কথা ఇసె ) অসাধা কিছুই নাই। পরিবর্তন, রূপাস্তব জগতে আশ্চৰ্য্য নহে। যে রাজ্যে কেনীর নামে দোহাই ফিরিয়াছে, বালকে মাযেরক্রোড়ে আতঙ্কে র্কাপিয়াছে, মহাশক্তিশালী লক্ষপতির হৃদয় কেনার নামে দূর দূর করিয়া অস্থির হইয়াছে, স্যামচাদের নামে মামুষের হৃদপি গু পৰ্য্যস্ত শুকাইয। গিয়াছে, আজ সেই কেনীব ভাব স্বতন্ত্র, সৰ্ব্বোতভাবে রূপাস্তব । বাজশক্তিতে দেশের শাস্তিবায়ু বহিয়া প্রজা নীলকরকে রক্ষা কবিয়াছে। স্বেচ্ছাচার অত্যাচাবের দায় হইতে সকলকেই উদ্ধার করিয়াছে। সকলেই এখন বিধিব অধীন। বাজবিধির অন্তর্গত সীমাব অধীন। নিকটেই মহকুমা। শাসন, বক্ষণ, সমুদায বাজহস্তে। প্রজাব পক্ষে থাকিলেও নীলকরেব অত্যাচার নাই । নীলকবেব পক্ষে গেলে ও প্রজার অত্যাচার নাচ । যাহার যে পক্ষ অবলম্বন শ্রেয় বোধ হইতেছে, প্রযোজন বোধ হঠযাছে, সুসাব বোধ হইয়াছে, সে সেই পক্ষে যাইতেছে। মাঝে মাঝে পরিবর্তনও হইতেছে। প্রজায় নীল আর বুলিবে না, কেনীও নীলচাষ ছাড়িবে না । জমিদাব—জমিব অভাব নাই। চাৰ্যকারকিদেব জন্যই প্রজাব দরকার । বিলাত হঠতে কলেবলঙ্গিল আনিবেন, ইনজিনে লাঙ্গল চলিবে । কলেই আবাদ, কলেই বুনানী, কলেই কর্তন। কলেষ্ট মাই, কলেই জণত ; দেশীয়লোকের আর সাহায্য লক্টবেন না । দেশীয়লোককে আর ডাকিবেন না। খাজনার জন্য তাগাদ কবিবেন না । দশ আইন কবিয রাজসহায়ে খাজনা আদায় করিবেন, ইহাই সংকল্প। এই যুক্তি স্থির করিয়া, আপন কর্তবাকার্য্যে মন দিয়াছেন। কিন্তু মজুত তহবিলে হাত পডিয়াছে। আয়ের অঙ্ক প্রায় শূন্য । মজুত তহবিল হইতে অকাতরে ব্যয় কবিয়া উদেশ্বসাধনে তৎপর হইয়াছেন । নায়েব, মুচ্ছদি, দেওয়ান, সাহেবের পূর্ব আসখাস অনেকেই আবার আসিয়া জুটিয়াছেন। কিন্তু সকলেই রূপান্তর। পূৰ্ব্বভাব কাহারও নাই। এখন প্রজাশাসন আইনেব মারপেচে বড় বড় মাথাল মাথাল প্রজার নামে সত্যমিথ্যা অনেক নালিশ রুজু করিয়াছেন। উকিল-মোক্তার খুব জুটিয়াছে। কথায় কথায় নালিশ, কথায় কথায় আরজি দাখিল হইতেছে । থানায় এজাহার পড়িতেছে, ম্যাজিষ্ট্রীতে দরখাস্ত দাখিল হইতেছে। বলা বাহুল্য যে, প্রজাগণই আসামী । মন্দ নয় এ দৃশু—মন্দ নয়। পাঠক ! মনের কথা যদি মনোযোগ করিয়া পাঠ করিয়া থাকেন, তবে এ দৃষ্ঠে চক্ষু শীতল না হউক আনন্দ জঙ্কিৰে । কোথায় সর্দার লাঠিয়ালের ।