পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/৩৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গো-জীবন *Aళ9 স্তনে দুগ্ধ পাই কই ? মাযেব স্তনে দুগ্ধ থাকা সত্ত্বেও অনেকেই গোরসে জীবন রক্ষা করিয়াছে । মিষ্টাম্নে, পঙ্কাল্পে সদ্যজাত নব শিশুর প্রাণরক্ষা হয় না, দুগ্ধই জীবের জীবন । জগতে দুগ্ধ ছাড়া এমন কোন একটি খাদ্য নির্দিষ্ট নষ্ট যে শুধু সেই খাদ্যটি খাইয়া জীবনধারণ কবা যায । গোরসই বঙ্গের উপাদেয় খাদ্য। শুধু অমুস্থ শরীরে, এমন কি প্রাণসঞ্চার হইতে বিযোগ পৰ্য্যস্ত দুগ্ধের প্রয়োজন ; সেই দুগ্ধের মূল গোধনকে উদরসাৎ করিয়া ফেলিলে অব কি রক্ষা আছে ! কালেব মহাত্ম্য যদি দুগ্ধের উপকারিতা অস্বীকার কবি, মাংস খাইতে শিখিয়াছি বলিযা যদি দুগ্ধেব কথা মনে না করি, ং তত্ৰাচ উপকারী পশুব প্রতি সদয়ভাবে সদব্যবহাব কবিয়া তাহদের জীবনরক্ষা করিবার চেষ্টা করিলে তাহাতে ক্ষতি কি ? বড় হইয়াছি আর দুগ্ধের ধার কে ধারে ? কিন্তু এদেশে গে; জাতিয সাহায্য ব্যতীত বলুন তো কোনরূপ খাদ্য প্রস্তুত হইতে পারে ? কখনি না । বে থাদ্যই প্রস্তুত কবিবে গে। জাতির উপাসনা কবিতেই হইবে । এদেশে অন্স কোন পশুর দ্বারা ভূমি কর্ষণের প্রথা প্রচলিত নাই । কাজেই বলদেব দপকার। প্রথম কর্ষণ, কারাকত, মাড়াই করিতে কাহার সাহায্য আবশ্বক ? এহেন গোরস্তুকে মারিয, কাটিয়া, গলায় ছুরি বসাইয়া উদবসাৎ করিলে অন্য খাদ্যেব আশা আর থাকে কোথা ? মানিলাম-বুদ্ধি খাটাইয়া বিনা বলদে ভূমি আবাদ করিতেও ক্ষমতা আছে--কল কৌশল খাটাইয়া খাদ্যাদি প্রস্বত করারও উপাস আছে, কিন্তু একাধাবে এত গুণ আর কাহাব ? সে অপরিসীম গুণ সকল কি কবিয ভুলিয়। যাই । কোন গণে মুগ্ধ হইয়া গোজাতির অসীম গুণ ভূলিৰ । ভ্রাতাগণ ! আমি তো কিছুই দেখিতে পাহ না । ভ্রাতঃ ! জগতে কাহার বিষ্ঠার কে কবে আদর করিযাছে ? আমবা গোবিষ্ঠা অপবিত্র মনে করি কিন্তু যথার্থ হিন্দুগণ ঐ বিষ্ঠাবই বা কত আদর করেন। শুষ্ক বিষ্ঠা কি আর আমাদের আদরের নহে? গোমূত্রেও উৎকট ব্যাধি আরোগ্য হয় । পুত্র, কস্তা, ভ্রাতাভগ্নীর সহিত জীবনেই সম্বন্ধ। যত উপকার, যত সাহায্য, যত লাভ, দেহে প্ৰাণ থাকিতেই সম্ভবে,—মানব জীবনে আশাও তাহাই । কিন্তু ভাই । গোজাতি মরিয়াও আমাদের উপকার সাধন করিতেছে । আহা! প্রথম দুগ্ধ দিয়া প্রাণ বাসস্থল, পরে শরীর খাষ্ট্রাইয় তোমার সংসার চালাইল, মরিয়াণ্ডু, তোমার সহস্ৰ BBB BB BBBS BBB BB BB BBB BBB Bi