পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/৪০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\૭ જે ર মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্ৰহ আমার শিশুকালের একটি গল্প স্মরণ হইল দেখুন তো ন্যায় সঙ্গত কিনা ? উহী এই—কোন পথের ধারে হৃষ্টপুষ্টাঙ্গ এক ব্যক্তি বাহে বসিয়া খিরা খাইতেছিল। ঐ পথ দিয়া একটি চিকিৎসক যাইতেছিলেন। তিনি উহা দেখিয়া ৰলিলেন, ভাই ! বাহকালে কিছু খাইতে নাই। সে ব্যক্তি উহা শুনিয়া রাগন্ধি হইয়া বলিল, তুই এতবড় শক্ত কথা বলিলি। দেখ! আমি গু দিয়া খিরী খাইব, পরে তাহাই করিল। চিকিৎসক তাহাকে পাগল বিবেচনা কপিয তাহার চিকিৎসায় প বৃত্ত হইবেন ! প্রস্তাব লিখক আখবারে এসলামীয় আহমদী সম্পাদe কে লিখিযাছিলেন আপনার বন্ধু যিনি গোকুল নিৰ্ম্মল আশঙ্কা প্রবন্ধ লিখিযাছেন, তাহাব নাম কি, জানিতে ইচ্ছা কবি । তিনি তাহার কিছুই উত্তর দেন নাই, তদুত্তবে আপনি বলিতেছেন “সকলেবই জানা আবশ্বক যে প্রস্তাব লিখক ও সম্পাদক বাস্তবিকই ভিন্ন শরীর ও ভিন্ন আকৃতি।” মহাশয় চটিয়া উঠিবেন না, ভাল. বলুন তো দেখি ! যদি আপনার কোন বন্ধু আপনাকে জিজ্ঞাসা করেন, ভ্ৰাত: আপনাব ভ্রাতার নাম কি ? যদি আপনি তাহার উত্তর না দেন আব আপনাব ভ্রাত বলেন আর আমার ভ্রাত বাস্তবিকই ভিন্ন শরীর ভিন্ন আকৃতি । তবে এই উত্তর ন্যাসসঙ্গত কিনা ? এবং বক্তার গালে আপনি দুটা চন্দ্র মরিবেন কিনা ? আহমদী সম্পাদক যে আপনার নাম লুকাইয়া রাখিতে ইচ্ছা করেন, চাদরে ঢাকিয়া রাখিতে বাসন করেন, উহাতে তাহার স্ববুদ্ধির পরিচয় দিতেছে। লোকে বলে হাত ছোট আম বড়—প্রমাদের কথা, সেদিন কথায় কথায় গোকুল নিৰ্ম্মল সম্বন্ধে উঠিল, তাহাতে আমাদের জনৈক বন্ধু বলিলেন আপনারা কি আহমদ সম্পাদকের বন্ধুকে চিনেন, যিনি গোকুল নির্মূল সম্বন্ধে প্রবন্ধ লিখিয়াছেন ? আমরা বলিলাম-না। তিনি কহিলেন, সেই প্রবন্ধ লেখক সাত সমূদ্র তের নদী পার হইয়া এই অঞ্চলে আসিয়াছেন। আমি উাহাকে ভালরূপ চিনি। --তিনি একট হৃষ্টপুষ্টাঙ্গ ব্যক্তি, যদি আহমদ সম্পাদক বেড়ে আড়াই ফুট হন তবে তিনি অনুন পাচ ফুট হইবেন। যদি সম্পাদক দীঘে তিন ফুট হন তবে তিনি অনুন চারি ফুট হইবেন। কিন্তু নাম বলিলেন না। মহাশয় ধৰ্ম্ম বিরুদ্ধ প্রবন্ধ লিখিয়া কেনই বা মেয়েলোকের মত লুকাইয়া থাকিতে ইচ্ছা করেন ? এমন প্রবন্ধ লিখকের জীবনে ধিক মা দিয়া কে থাকিতে পরিবে ?