পাতা:মুক্তি - অপরেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম অঙ্ক নেই। হায়—হায়—বসন্তের এই মধুর প্রাতে রে দুষ্ট সাপ ! তুই আমায় না কামড়ে কামড়ালি কিনা এই তরুণীকে । বাসস্তিক ! বাসস্তিকা ! ( ত্যাগানন্দের পুনঃ প্রবেশ ) ত্যাগ । কি হে শাণ্ডিল্য । হঠাৎ উঠে এসে বাসস্তিকা— বাসস্তিকা ব’লে চেচাছ কেন ? একটী স্ত্রীলোক শুয়ে, ব্যাপারখানা কি ? শাত্তি। আর গুরুদেব ! কি আর ব’লবো ? এই নারীর নাম বাসস্তিকা—এই নগরের একজন প্রধান গণিকা । ত্যাগা । তারপর, তার কি হ’ল ? শাণ্ডি । সে হঠাৎ প্রাণত্যাগ করলে ! ত্যাগ । মুর্থ ! প্রাণ কেউ কখনো ত্যাগ করে ? জীবের প্রাণ অপেক্ষ প্রিয় কি আছে ? প্রাণ বাসস্তিকণর এই দেহকেই ত্যাগ করেছে। এই প্রাণের নামই জীবাত্মা । এই জীবাত্মা বা কৰ্ম্মাত্মা মায়ার বন্ধনে বদ্ধ হ’য়ে পরমাত্মা বা ঈশ্বরকে ভুলে যায়। ওর জন্তে শোক করা বৃথা ; তোমাকে এই আত্মা পরমাত্মার কথাই তো আমি এতক্ষণ বোঝাচ্ছিলেম । শাণ্ডি । একটু পরে বোঝাবেন গুরুদেব, আপনার ও সাঙ্খা, २89