পাতা:মৃণালিনী-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२९ মৃণালিনী - ছে—কি বুধিলে? মুখে আছে কি ক্লেশ শ . : গহন, পরণে ভাল কাপড়–হৃষীকেশ অক্ষিণের ककृॉब्र जहे । の豪 l তুমি আপতে বা মান কৰা কিছু বুলি! ব্যাকালের পরে মত ; মুখখানি কেবল জলে ভাসিতেছে। হে। পরপৃহে কি ভাবে আছে ? গি। এই অশোক ফুলের স্তবকের মত। আপনার গৌরবে আপনি নয়। হে। গিরিজায় ! তুমি বয়সে বালিকা মাত্র। তোমার স্কায় বালিকা আর দেখি নাই । গি । মাথা ভাঙ্গিবার উপযুক্ত পাত্রও এমন আর দেখেন নাই। হে। সে অপরাধ লইও না, মৃণালিনী আর কি-বলিল ? গি । যো দিন জানকী— হে। আবার ? * किों । যো দিন জানকী, রঘুবীর নিরধি— হেমচন্দ্র গিরিজায়ার কেশাকর্ষণ করিলেন। তখন সে কহিল, “ছাড়। ছাড়। বলি ! বলি ” 曾 “বল” বলিয়া হেমচন্দ্র কেশ ত্যাগ করিলেন। তখন গিরিজায় আদ্যোপান্ত মৃণালিনীর সহিত কথোপকথন বিবৃত করিল। পরে কহিল, “মহাশয়, আপনি যদি মৃণালিনীকে দেখিতে চান, তবে আমার সঙ্গে এক প্রহর রাত্রে যাত্রা করিবেন।” * গিরিজায়ার কথা সমাপ্ত হইলে, হেমচন্দ্র অনেকক্ষণ নিঃশব্দে অশোকতলে পদচারণ করিতে লাগিলেন। বহুক্ষণ পরে কিছুমাত্র না বলিয়া গৃহমধ্যে প্রবেশ করিলেন। এবং তথা হইতে একখানি পত্র আনিয়া গিরিজায়ার হস্তে দিলেন, এবং কছিলেন, “মৃণালিনীর সহিত সাক্ষাতে আমার এক্ষণে অধিকার নাই। তুমি রাত্রে কথামত র্তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিবে এবং এই পত্র তাহাকে দিবে। কহিবে, দেবতা প্রসন্ন হইলে অবশ্ব শীঘ্র বৎসরেক মধ্যে সাক্ষাৎ হইবে। মৃণালিনী কি বলেন, আজ রাত্রেই আমাকে বলিয়া যাইও ।” - + ... * * গিরিজায় বিদায় হইলে, হেমচন্দ্র অনেকক্ষণ চিন্তিতান্তকরণে অশোকবৃক্ষতলে । তৃণশয্যায় শয়ন করিয়া রছিলেন। ভূজোপরি মন্তক রক্ষা করিয়া, পৃথিবীর দিকে মুখ