পাতা:মৃণালিনী-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

cभांश्र्निौ ge, প্রতিমাগ্রে সাষ্টাঙ্গে প্ৰণাম করিলেন। গাত্ৰোখান করিয়া যুক্তকরে ভক্তিভাবে ইষ্টদেবীর শুতি করিয়া কহিলেন, “জননি। বিশ্বপালিনি। আমি অকূল সাগরে দ্বীপ দিলামদেখিও মা ! আমায় উদ্ধার করিও। আমি জননীস্বরূপ জন্মভূমি কখন দেবদ্বেষী যবনকে বিক্রয় করিব না। কেবলমাত্র এই আমার পাপাভিসন্ধি যে, অক্ষম প্রাচীন রাজার স্থানে আমি রাজা হইব। যেমন কণ্টকের দ্বারা কণ্টক উদ্ধার করিয়া পরে উভয় কণ্টককে দূরে ফেলিয়া দেয়, তেমনি যবন-সহায়তায় রাজ্যলাভ করিয়া রাজ্য-সহায়তায় যবনকে নিপাত করিব। ইহাতে পাপ কি মা ? যদি ইহাতে পাপ হয়, যাবজ্জীবন প্রজার মুখামুষ্ঠান করিয়া সে পাপের প্রায়শ্চিত্ত করিব। জগৎপ্ৰসবিনি। প্রসর হইয়া আমার কামনা ; সিদ্ধ কর।” - - এই বলিয়া পশুপতি পুনরপি সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করিলেন। প্রণাম করিয়া গাত্ৰোখান, করিলেন—শয্যাগৃহে যাইবার জন্য ফিরিয়া দেখিলেন—অপূৰ্ব্ব দর্শন— সম্মুখে দ্বারদেশ ব্যাপ্ত করিয়া, জীবনময়ী প্রতিমারূপিণী তরুণী দাড়াইয়। রহিয়াছে। পশুপতি প্রথমে চমকিত হইলেন–শিহরিয়া উঠিলেন। পরক্ষণেই উচ্ছাসোমুখ সমুদ্রবারিবৎ আনন্দে স্ফীত হইলেন। তরুণী বীণানিন্দিত স্বরে কহিলেন, “পশুপতি ।” পশুপতি দেখিলেন—মনোরমা । অষ্টম পরিচ্ছেদ মোহিনী - সেই রত্নপ্রদীপদীপ্ত দেবীমন্দিরে, চন্দ্রালোকবিভাসিত দ্বারদেশে, মনোরমাকে দেখিয়া, পশুপতির হৃদয় উচ্ছাসোমুখ সমুজের ছায় স্ফীত হইয়া উঠিল। মনোরমা নিতান্ত খৰ্ব্বাকৃত নহে, তবে উহাকে বালিকা বলিয়া বোধ হুইত, তাহার श्रु आहे , : ' মুখকান্তি অনিৰ্ব্বচনীয় কোমল, অনিৰ্ব্বচনীয় মধুর, নিতান্ত বালিকা বয়সের ঔদার্থবিশিষ্ট; : স্বতরাং হেমচন্দ্র যে তাহার পঞ্চদশ বৎসর বয়ঃক্রম অনুভব করিয়াছিলেন, ভাহা জস্তায় : হয় নাই। মনোরমার বয়ঃক্রম যথার্থ পঞ্চদশ, কি ষোড়শ, কি তাধিক, কি ভঙ্গুন, । তাছ। ইতিহাসে লেখে মা, পাঠক মহাশয় স্বয়ং সিদ্ধাস্তু করিবেন। .

ു.  ു. .