পাতা:মৃণালিনী-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লিঙ্কলি, “ালিনীৰে আমি দেখিয় আলি बाहे । * १७ जाপনার এ জনমের সঙ্গে কি সই জনমের সাধ ফুরাইবে । -- - কিবা জন্ম জন্মান্তরে, এ সাধ মোর পুরাইবে।” । - হেমচন্দ্ৰ কহিলেন, “গিরিজায়, তোমাকে মিনতি করিতেছি—গান রাখ, ঘৃণালিনীর সংবাদ বল।” গি। কি বলিব ? ছে। মৃণালিনীকে কেন দেখিয়া আইস নাই ? গি । গৌড়নগরে তিনি নাই। হে । কেন ? কোথায় গিয়াছেন ? গি। মথুরায়। হে। মধুরায় ? মধুরায় কাহার সঙ্গে গেলেন । কি প্রকারে গেলেন ? কেন গি। তাহার পিতা কি প্রকারে সন্ধান পাইয় লোক পঠাইয়া লইয়া গিয়াছেন। খুঞ্জি তাহার বিবাহ উপস্থিত। বুঝি বিবাহ দিতে লইয়া গিয়াছেন। হে। কি ? কি করিতে ? - গি । মৃণালিনীর বিবাহ দিতে র্তাহার পিতা তাহাকে লইয়া গিয়াছেন। হেমচন্দ্র মুখ ফিরাইলেন । গিরিজায়া সে মুখ দেখিতে পাইল না ; আর * হেমচন্দ্রের স্কন্ধস্থ ক্ষতমুখ ছুটিয়া বন্ধনবস্ত্র রক্তে প্লাবিত হইতেছিল, তাহাও দেখিতে পাইল

  • T

ন। সে পূৰ্ব্বমত গায়িল, “বিধি তোরে সাধি শুন, জন্ম যদি দিবে পুন, আমারে আবার যেন, রমণী জনম দিবে। লাজ ভয় তেয়াগিব, এ সাধ মোর পুরাইব, সাগর ছেঁচে রতন নিব, কণ্ঠে রাখব নিশি দিবে।” হেমচন্দ্র মুখ ফিরাইলেন। বলিলেন, “গিরিজায়, তোমার সংবাদ শুভ। উত্তম এই বলিয়া হেমচন্দ্র গৃহমধ্যে পুনঃ প্রবেশ করিলেন। গিরিজারার মাথায় আকাশ ভাঙ্গিয়া পড়িল । গিরিজায় মনে করিয়াছিল, মিছা করিয়া মৃণালিনীর বিবাহের কথা ...so