পাতা:মৃণালিনী-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মৃ। পাষণ্ড বলিও না। হেমচন্দ্র ভ্রাপ্ত হইয়া থাকিবেন—এ সংসারে অজান্ত কে ? কিন্তু হেমচত্র পাবও নহেন। আমি স্বয় তাহার নিকট এখনই যাইব—তুমি সঙ্গে চল । फूमि चांभांएक छशिनैौद्र अश्रुि tत्रश् रुद्र-छूशि थांबाब्र छछ न कब्रिग्नाइ कि ? छूमि কখনও আমাকে অকারণে মনঃপীড়া দিবে না-কখনও আমার নিকট এ সকল কথা মিথ্যা করিয়া বলিবে না, ইহা অামি নিশ্চিত জানি। কিন্তু তাই বলিয়, আমার হেমচন্দ্র আমাকে বিনাপরাধে ত্যাগ করলেন, ইহা তাহার মুখে না শুনিয়া কি প্রকারে অস্তঃকরণকে স্থির করিতে পারি? যদি তাহার নিজ মুখে শুনি যে, তিনি মৃণালিনীকে কুলটা ভাবিয়া ত্যাগ করিলেন, তবে এ প্রাণ বিসর্জন করিতে পারিব। গি। প্রাণবিসর্জন । সে কি মৃণালিনী ? মৃণালিনী কোন উত্তর করিলেন না। গিরিজায়ার স্কন্ধে বাহুস্থাপন করিয়া রোদন করিতে লাগিলেন। গিরিজায়াও রোদন করিল। नदम ॰ङ्गिट्क्तः অমৃতে গরল—গরলামৃত হেমচন্দ্র, আচার্য্যের কথায় বিশ্বাস করিয়া মৃণালিনীকে ক্ষরিত্র বিবেচনা করিয়াছিলেন ; মৃণালিনীর পত্র পাঠ না করিয়া তাহ ছিন্ন ভিন্ন করিয়াছিলেন, র্তাহার তীকে বেত্ৰাঘাত করিতে প্রস্তুত হইয়াছিলেন । কিন্তু ইহা বলিয়। তিনি মুণালিনীকে ভালবাসিতেন না, তাহা নহে। মৃণালিনীর জন্য তিনি রাজ্যত্যাগ করিয়া মথুরাবাসী হইয়াছিলেন। এই মৃণালিনীর জন্য গুরুর প্রতি শরসন্ধান করিতে প্রস্তুত হইয়াছিলেন, মৃণালিনীর জন্য গৌড়ে নিজ ব্রত বিস্মৃত হুইয়া ভিখারিণীর তোষামোদ করিয়াছিলেন। আর এখন ? এখন হেমচন্দ্র মাধবাচার্ঘ্যকে শূল দেখাইয়া বলিয়াছিলেন, “মৃণালিনীকে এই শূলে বিদ্ধ করিব।” কিন্তু তাই বলিয়া কি, এখন তাহার স্নেহ একেবারে ধ্বংস প্রাপ্ত হইয়াছিল ? স্নেহ কি একদিনে ধ্বংস হইয়া থাকে ? বহুদিন অবধি পাৰ্ব্বতীয় বারি পৃথিবী-হৃদয়ে বিচরণ করিয়া আপন গতিপথ মিখাত করে, একদিনের সূর্য্যোত্তাপে কি সে নদী শুকায় । জলের যে পথ নিখাত হইয়াছে, জল সেই পথেই যাইবে, সে পথ রোধ কয়, পৃথিবী ভাসিয়া যাইবে। হেমচন্দ্র সেই রাত্রিতে নিজ শয়নকক্ষে, শব্যোপরি শয়ন করিয়া সেই মুক্ত বাতায়নসন্নিধানে

* * * * *