পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/১৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

^&* মেদিনীপুরের ইতিহাস। পুর নামে একটি ক্ষুদ্র গ্রামও বিদ্যমান। প্রতাপাদিত্যের হিজলী-যুদ্ধের সাপক্ষে ইহাও একটি বিশেষ প্রমাণ । শ্ৰীযুক্ত নিখিলনাথ রায় মহাশয় হিজলীর ঈশা খার বিষয় অবগত ছিলেন না বলিয়াই উড়িষ্যার ঈশা খুঁ। লোহানীর সঙ্গেই বসন্ত রায়ের বন্ধুত্ব ছিল এবং রাঘব রায় তাহারই আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছিলেন বলিয়া সিদ্ধান্ত করিয়াছেন। কিন্তু উড়িষ্যার ঈশা খা প্রতাপাদিত্যের সহিত যুদ্ধে কোন দিন পরাজিত হন নাই, আর র্তাহার রাজ্যও কোন দিন প্রতাপাদিত্যের অধিকারভুক্ত হইয়াছিল, এরূপ কোন ঐতিহাসিক প্রমাণও পাওয়া যায় নাই। পরন্তু বহুকাল হইতে প্রবল জনশ্রুতি চলিয়া আসিতেছে যে, প্রতাপাদিত্যের সহিত ঈশ খার যুদ্ধ হইয়াছিল এবং প্রতাপ হিজলী রাজ্য অধিকার করিয়া লইয়াছিলেন। নিখিল বাবুও একথা একেবারে অস্বীকার করিতে পারেন নাই। এইজন্ত তাহাকে একটু ইতস্তত: করিতে হইয়াছে। তিনি একবার বলিতেছেন, “ঈশা খা লোহানী উড়িষ্যা ও দক্ষিণবঙ্গে আধিপত্য করায় হিজলী যে র্তাহার অধিকারভুক্ত হইয়াছিল, তাহ অনায়াসে বলা যাইতে পারে এবং প্রতাপাদিত্য যেরূপ পরাক্রযশালী হইয়া উঠিয়াছিলেন, তাহাতে তিনি ঈশা খার নিকট হইতে হিজলা বিচ্ছিন্ন করিয়া লইতেও পারেন।” আবার বলিতেছেন, “প্রতাপাদিত্য কর্তৃক হিজলী অধিকারের ঐতিহাসিকত্ব সম্বন্ধে আমরা সন্দিহান হইয়। থাকি। তবে ঈশা খণর সহিত বিবাদ করিয়া তিনি আপনার রাজ্যের নিকটস্থ হিজলীকে কিছু দিন নিজ অধিকারেও রাখিতে পারেন।” ঈশা খা লোহানীর সহিত বসন্ত রায়ের বন্ধুত্বের কারণস্বরূপ তিনি লিখিয়াছেন—“বিক্রমাদিত্য (বসন্ত রায়ের ভ্রাত) কত ধার সহিত দায় প্রতাপাদিত্য (গরিবদ্ধ গ্রন্থাৰলী ১ পৃ: ১২৪-১২৬।