পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৩৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন কীৰ্ত্তি ও কাহিনী । ు) হইয় দেব মন্দির ও দেব মূৰ্ত্তি সমূহ চর্ণ বিচূর্ণ করিয়া হিন্দু ধৰ্ম্মের লাঞ্ছনা করিতেছিলেন, সেই সময় এই শিবলিঙ্গ দুইটির পূজকগণ র্তাহ:দের চক্ষুর সম্মুখে দেবতার ঐরূপ লাঞ্ছনা হইবার আশঙ্কা করিয়া মল্লেশ্বরকে প্রস্তরাবরণে আবৃত করেন এবং উজন্নাথকে অদূরে এক বটবৃক্ষমূলে স্থাপন করিয়া আসেন। কালাপাহাড় দেবমূৰ্ত্তি দুইটির সন্ধান না পাইয়া মন্দির দুইটিকেই ধ্বংস করিয়া দিয়া যান। পরিবর্তিকালে চন্দ্রকোণা বৰ্দ্ধমানাধিপতির অধিকারভুক্ত হইলে বৰ্দ্ধমানাধিপতি রাজা কীৰ্ত্তিচন্দ্র খৃষ্টীয় অষ্টাদশ শতাব্দীতে মল্লেশ্বর মহাদেবের বর্তমান সুউচ্চ ও সুদৃপ্ত মন্দিরটি নিৰ্ম্মাণ করিয়া দেন । কিন্তু শিবলিঙ্গ অদ্যপি সেইরূপ প্রস্তরাবৃত অবস্থাতেই রহিয়াছে। মল্লেশ্বর মহাদেবের নামানুসারে উত্তরকালে ঐ স্থান মল্লেশ্বরপুর নাম প্রাপ্ত হইয়াছে। মল্লেশ্বর মহাদেবের মন্দিরের অনতিদূরে একটি প্রাচীন বটবৃক্ষমূলে উজন্নাথ মহাদেবও অস্থাপি আছেন। শ্রত হওয়া যায় যে, যতবার উহার জন্য মন্দির বা গৃহাদি নিম্মাণ করিয়া দেওয়া হইয়াছে ততবার উহা ভূমিকম্প, গৃহদাহ, বজ্রাঘাত বা অন্য কোনপ্রকার দুর্ঘটনার দ্বারা ধ্বংস হইয়া গিয়াছে। - চন্দ্রকোণা সহরের দক্ষিণে দ্বাদশদ্বারা বা “বারদুয়ারী’ নামক দুর্গটির ব্বংসাবশেষ আছে। জনশ্রুতি ঐ স্থানেই চন্দ্রকোণার প্রাচীন রাজ। চন্দ্রকেতুর রাজবাটা ছিল। পূৰ্ব্বে উল্লিখিত হইয়াছে, দক্ষিণ রাঢ়ে সুরবংশীয়দিগের অধিকার লুপ্ত হইলে বগড়ী ও চন্দ্রকোণা প্রভৃতি স্থানে এক একটি ক্ষুদ্রতর রাজ্যের প্রতিষ্ঠা হইয়াছিল। ঐ সময় চন্দ্রকোণায় যে রাজবংশ প্রথম আধিপত্য করিয়াছিলেন রাজা চন্দ্রকেতু সেই বংশের শেষ রাজা । তৎপরে চন্দ্রকোণায় বগড়ীর চৌহান বংশীয় রাজাদিগের অধিকার আরম্ভ হইয়াছিল। दाझश्वदाम्रो ६% ।