পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৩৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७8२ মেদিনীপুরের ইতিহাস। লোক মুখে শ্রত হওয়া যায়। বৰ্ত্তমানকালে সেই সকল কথা উপকথায় পরিণত হইয়াছে। ষোলদীঘির বর্তমান অবস্থা অতীব শোচণীয় ; আবর্জনা ও পঙ্কে পরিপূর্ণ। খড়গপুর পরগণার মধ্যে বারবাটায় ও কৌশল্যা নামেও দুইটি সুবৃহৎ ও সুরম্য সরোবর আছে। খড়গপুর থানার মধ্যে বলরামপুর রাজবংশের প্রতিষ্ঠিত কয়েকটি গড়ের ধ্বংসাবশেষ দৃষ্ট হয়। তন্মধ্যে ‘আড়াসিনী পড়’ ও ‘অযোধ্যা গড় বিশেষ প্রসিদ্ধ ছিল। কাল বিবর্তনে রাজবংশের অবনতির সঙ্গে সঙ্গে সেই সকল গড়ের পূর্ব শ্ৰী বিলুপ্ত হইয়া গিয়াছে। অযোধ্যা গড়ের মধ্যে ‘জোড় বাঙ্গালা’ ও ‘পঞ্চরত্ন’ নামে প্রস্তর-নিৰ্ম্মিত দুইটি মন্দির আছে। রাজা বীরসিংহের বংশধর রাজা সুরথ সিংহের কুলদেবতা ংহবাহিনী জোড় বাঙ্গালায় অধিষ্ঠিত ছিলেন এবং পঞ্চরত্ন মন্দিরটা খামসুন্দর জীউ বিগ্রহের জন্য নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। রাজা সুরথ সিংহের মৃত্যুর পর দুইটি মন্দিরই বলরামপুর রাজবংশের অধিকারভুক্ত হইয়াছিল ; বলরামপুরের অন্যতম রাজা শক্রয় মহাপাত্র দেবতা দুইটির সেবা পূজার বিশেষ ব্যবস্থা করিয়া দিয়াছিলেন । তাহারই ফলে এখনও প্রতিদিন অনেক অতিথি, অত্যাগত এইস্থানে প্রসাদগন্ন পাইয়া থাকে । ইহা বলরামপুরের ঠাকুর বাড়ী নামে প্রসিদ্ধ । খড়গপুর থানার অন্তর্গত কলাইকুণ্ড গ্রামে ধারেন্দার প্রাচীন রাজবংশের গড়বাড়ী ছিল। বাম্বাসিনী দেবী এই রাজবংশের কুল দেবতা। একটা হস্তীর উপর সিংহ এবং তদুপরি প্রস্তরময়ী চতুতুজা দেবী মূৰ্ত্তি। মহেশপুর নামক গ্রামের সন্নিকটে যমুনাদীঘি নামক যে পুষ্করিণীটা দৃষ্ট হয় উহা এই বংশের তৃতীয় রাজা খড়গ সিংহ পালের সময়ে খোদিত হইয়াছিল। উত্তরকালে এই বলরামপুর গড় । কলাইকুণ্ড গড় ।