বীরণ তৃণ (চলিত কথায় বেণাঘাস) সার্দ্ধ দুই হস্ত পরিমিত দীর্ঘাকারে জড়াইয়া লইবে। ইহারই নাম ‘পাটাই’। যতজন রমণী ব্রত করিবেন ততটী পাটাই নির্ম্মাণ করিতে হয়। এই গুলি অন্তঃপুরের প্রাঙ্গণে ঘনসন্নিবিষ্ট করিয়া এক সারিতে রােপণ করিবে। সম্মুখে এক ক্ষুদ্র “পুকুর” করিয়া চতুঃপার্শ্বে আলিপনা দিবে। পাটাইগুলি সরিষাফুল ও গেঁদা ফুল দ্বারা সজ্জিত করা হয়।
নৈবেদ্যের অন্ন গৃহিণীরা স্বয়ং রন্ধন করেন বলিয়া কায়স্থদের গৃহে ব্রাহ্মণ পুরােহিতেরা এই ব্রতের পূজা করেন না। কিন্তু পুরােহিত উপস্থিত থাকিয়া মন্ত্র বলিয়া দেন, গৃহকর্ত্রী স্বয়ং পূজা করেন। ধ্যান যথা;
ওঁ সিংহস্থা শশিশেখরা মরকতপ্রক্ষা চতুর্ভিভুজৈঃ।
শঙ্খং চক্রধনুঃ শরাংশ্চ দধতী নেত্রৈস্ত্রিভিঃ শােভিতা।
আমুক্তাঙ্গদহার কঙ্কণরণৎ কাঞ্চিক্কণ ন্নূপুরা।
দুর্গা দুর্গতি হারিণী ভবতু নাে রত্নোল্লসৎকুণ্ডলা।
পরদিন প্রত্যুষে কাক ডাকিবার পূর্বে পাটাইগুলি প্রাঙ্গণ হইতে তুলিয়া পুকুর পাড়ে রোপণ করিতে হয়। ইহা ভুঁইমালীর কর্ত্তব্য।
পাটাই ব্রত কথা।
এক বিধবা বামুন ঠাক্রুণ। তাঁর বৌয়ের ছেলে হয়ে বাঁচে না। বউটী দেখতে শুনতে মন্দ নয়; তবে এক দোষ ছিল, —বড় লােভ। দুধ জ্বাল দিয়ে লুকিয়ে সরটুক খেয়ে ফেলতেন। বার-ব্রতের জন্যে ঘরে ভাল খাবার তৈরি হ’লে তাঁর নােলা