মলুয়া
“বাপের নাম হীরাধর অসমা মোর মাও[১]।
কালী দেখলাম জলের ঘাটে শুইয়া নিদ্রা যাও॥
ভিন দেশী পুরুষ তুমি কি কহি তোমারে।
অতিথ হইয়া আজি থাক আমার বাপের ঘরে॥
কুড়া লইয়া তুমি থাক বনে বনে।
কেমনে কাটাও নিশি এইমতে কাননে॥
বনে আছে বাঘ-ভালুক তোমার ভয় নাই।
এমন কইরা কেমনে তুমি ফির ঠাই ঠাই॥
আন্ধুয়া পুষ্কুনির পাড় কালনাগের বাসা।
একবার ডংশিলে[২] যাইব[৩] পরাণের আশা॥
সাধুমন্ত[৪] বাপ আমার মাও যে সুজন।
ঘরেতে আমার আছে ভাই পঞ্চ জন।
পঞ্চ ভাইয়ের বউ আছে ইষ্টিকুটুম করি।
আজি নিশি অতিথ হইয়া রইবা আমার বাড়ী॥
এই পন্থে যাইতে আজি তোমায় করি মানা।
সামনে আছে গেরামের[৫] পথ লোকের আনাগুনা॥
সেই পন্থ ধইরা তুমি মেলা নাই সে কর।[৬]
এই পথে যাইতে দেখবা বার-দুয়াইরা ঘর[৭]॥
সামনে আছে পুষ্কুনি সানে বান্ধা ঘাট।
পূব মুখ্যা[৮] বাড়ীখানি আয়নার কপাট॥
আগে পাছে বাগ-বাগিচা আছে সারি সারি।
পারাপশ্বির লোকে[৯] কয় গাও মরলের[১০] বাড়ী॥