সাত পাক ঘুরে কন্যা বরের চৌদিকে।
শুভযোগ হইল দুহার মুখচন্দিকে[১]॥
চাক-ঢোল বাজে কত গীতবাদ্যধ্বনি।
বন্দুকের আওয়াজে যেমন কাপয়ে ধরণী॥
তুরমী ছাড়িল যেমন আগুনের গাছ খারা৷
হাউই পানাস[২] ছুটে আসমানের তারা॥
মহা আনন্দেতে হইল বিয়া সমাপন।
কমলারে পাইয়া কুমার আনন্দিত মন॥
এই মতে বিয়া কার্য্য হইয়া গেল শেষ।
পুত্রসহ চাকলাদার ফিরিল নিজ দেশ॥
এইখানে করিলাম শেষ বারমাসী গান।
বাটা ভইরা জামাইর মা দেও গোয়া[৩] পান॥
আমরা সবে দিয়া যাই ধনে পুত্রে বর।
ধন দৌলত যত বারুক বিস্তর॥
বনদুর্গা মায়ের পাও শতেক প্রণাম।
কর্ম্মকর্ত্তা করুন মাপ বিপদে আছান[৪]॥
কমলার স্বগত সঙ্গীত
“যেদিন হইতে দেখছি বন্ধু তোমায় মৈষালের বাড়ী।
সেই দিন হইতে বন্ধু আমি পাগল হৈয়। ফিরি॥
আন্দাইরে ডুইবাছে বন্ধু আরে বন্ধু চন্দ্রসূর্য্য তারা।
তোমারে দেখিয়া বন্ধু আরে বন্ধু হৈছি আপন-হারা॥
কপালের দোষে বন্ধু আরে বন্ধু বন্দী বাপ-ভাই।
দোসর দরদি বন্ধু আরে বন্ধু তুমি ছাড়া নাই॥
বিফলে ফিরিয়া আরে বন্ধু যাও নিজ ঘরে।
একেলা শুইয়া বন্ধু আরে বন্ধু কান্দি আপন মন্দিরে॥