আজি সন্ধ্যাকালে দুতী মোরে লইয়া যায়।
সন্ধ্যার তারা নিব্যা[১] গেলে না দেখি উপায়॥
দুর্জন দুষ্মন মামা দুষমনি করিয়া।
দেওয়ান ভাবনার কাছে মোরে দিবে আজি বিয়া॥
এই কথা বাহিয়া আইস বন্ধুর গোচরে।
সন্ধ্যাবেলা এথা হইতে লইয়া যায় মোরে॥”
পত্র লইয়া দুতী তরিত[২] করিল গমন।
মাধবের নগরে গিয়া দিল দরশন॥
পত্রেতে সকল কথা মাধবরে কহিয়া।
আর বার ফিবে দূতী কিবা পত্র লইয়া॥
“কালি যে দেখ্যাছি আমি অতি দুঃস্বপন।
জলের ঘাটে যাইতে দূতী নাহি চলে মন॥
বাঁও[৩] আঁখি ঝরে মোর তরাসে কাঁপে বুক।
আজি কেন ঘন ঘন শুকাইছে মুখ॥
খাল্যা[৪] কলসী কাখে তুলিতে না পারি।
কিব। জানি হইল মোরে কহ শীঘ্র করি॥
যাইতে জলের ঘাটে নাহি চলে পাও।
শুকনা ডালেতে বস্যা কাগায়[৫] করে রাও[৬]॥
জলের ঘাটে যাইতে মোরে করিছে বারণ।
হাঁচি টিক্টিকি আর যত অলক্ষণ॥
জলে না যাইবাম আমি থাকি মায়ের কাছে।
কি জানি কপালে মোর কত দুঃখু আছে॥”
“শুন শুন দূতী আরে শুন কই তোমারে।
জলের ঘাটে না গেলে ন। পাইবাম প্রাণ-বন্ধুরে॥