রাবণ পণ্ডিতে কয় বিষাদ ভাবিয়া।
বাড়ীতে ফিরিলা চাঁদ সর্ব্বস্ব খুয়াইয়া[১]॥
জালুর পুত্ত্র কানাইয়া জাল বহিতে যায়।
পদ্মার আদেশে কাল দংশে তার পায়॥
পার্ব্বতী কানাইয়ার মাও এই কথা শুনি।
আউলাইয়া মাথার কেশ ছুটে পাগলিনী॥
হেনকালে দেখে তথায় একটী যোগিনী।
সর্ব্ব অঙ্গে ভস্ম মাখা গল-দেশে ফণী॥
চূড়াকারে বান্ধা কেশ পিঙ্গল চরণ।
পার্ব্বতী কান্দিয়া ধরে তাহার চরণ॥
আউলা পার্ব্বতী বলিছে “মোর মাও।
বিনামূল্যে হব দাসী ছাওয়ালে জিয়াও॥”
পদ্মার কৃপায় কানাই পাইল পরাণ।
পূজাবিধি কৈয়া দেবী হৈলা অন্তর্ধান॥
আছিল জালিয়া সেও হইল লক্ষেশ্বর।
মাছ নাহি ধরে শুয়ে পালঙ্ক উপর॥
রত্নাবলী কন্যাকে যে বিবাহ করিয়া।
হাওয়া খায় কানাইয়া যে জলটঙ্গিতে[২] বৈয়া[৩]॥
এহি কথা রটন্তি হৈল দেশে যথা তথা।
এই কথা শুনিলেন চান্দের বনিতা॥
পার্ব্বতীরে ডাকি কয় সুলকা সুন্দরী।
“এত ধন পাইলা তুমি কার পূজা করি॥”