রথ রাখ আজ তুমি মন্দগতি করি।
তাহলে চালের বাদ সাধিবারে পারি॥
চারিপ্রহর রাত্রি যদি অষ্টপ্রহর হয়।
তবে কার্য্যসিদ্ধি হয় শুন মহাশয়॥”
সূর্য্য বলে “মম রথ নিয়মিত চলে।
কমাতে বাড়াতে কেউ নাহি পারে বলে॥
তোমার গৌরবহেতু কহিনু নিশ্চয়।
সাধিয়া যে কার্য্য তব হইবে উদয়॥
শঙ্করদুহিতা তুমি জগৎ-জননী।
কার্য্যসিদ্ধি হবে যাহ স্বস্থানে আপনি॥”
এত শুনি হরষিত জয় বিষহরি।
বিদায় হইয়া তবে যান নিজপুরী॥
পদ্মা বলে “পাণ্ডু নাগ সত্বরে যাও ধাইয়া।
অখিলের নাগ যত আন ডাক দিয়া॥
সপ্ত দ্বীপে যত নাগ সাগর পর্ব্বতে।
আজ রাত্র ভিতরে সব আনহ ত্বরিতে॥”
এতেক শুনিয়া পাণ্ডু আকাশে উড়িল।
হেন কালে আগু হইয়া ঢুরা[১] জানাইল॥
সর্ব্বনাগ পরাজয় এই কথা শুনি।
বিষাদ ভাবিয়া কহে নেতা ঠাকুরাণী॥
“আমার কথা শুন তুমি জয় বিষহরি।
একান্তে চলিয়া যাও কৈলাসের পুরী॥
পিতার জটায় বাস করে কালনাগ।
পিতার কাছেতে তুমি তারে ভিক্ষা মাগ॥
যে সে সাপের কাজ নয় লখারে দংশিতে।
রাত্রিমধ্যে কালনাগে আনহ ত্বরিতে॥”
- ↑ ঢুরা=ঢেমনা সাপ, ঢোঁড়া সাপ।