আমিত চণ্ডাল কন্যা তুমি গঙ্গার পানি।
না ধরিব না ছুঁইব তোমার চরণখানি॥
ক্ষিদায় দিয়াম বনের ফল তিয়াষে[১] দিয়াম পানি।
গাছের পাতা পাইড়া[২] দিয়া করিব বিছানি[৩]॥
রাজার দুলালী কন্যা নাহি জান কেল্লেশে[৪]।
একলা কইরা কেমনে তুমি থাক্বা বনবাসে॥
বনের দোসর সঙ্গী আমিত নফর।”
কথা শুন্যা কান্দ্যা কন্যা করিলা উত্তর॥
“শুন শুন প্রাণপতি কই যে তোমায়।
তোমার হস্তে সমর্পণ কইরা দিন মায়॥
বনে জঙ্গলায় থাকি তুমি মোর স্বামী।
তুমি বিনা অন্য কারে নাহি জানি আমি॥
এতেক করিল বিধি কপালেরে দোষি।
আমার লাগিয়া বন্ধু তুমি বনবাসী॥”১-৭৬
(৫)
কাঙ্গালীয়া জাঙ্গালীয়া তারা দুইটি ভাই।
জাল বাইয়া মাছ মারে অন্য কার্য্য নাই।
কোমরে বান্ধিয়া ডোলা[৫] হাতে লইয়া জাল।
নদীর কিনারে ঘুরে সকাল বিকাল॥
ঘুরিতে ঘুরিতে তারা এইখানে আইল।
রূপবতী কন্যার সঙ্গে বনে দেখা হইল॥
দুই ভাইয়ের তিন বিয়া পুত্ত্রকন্যা নাই।
ঘরের যে বড় বউ নাম তার পুনাই॥