গোপাল রাখিল নাম গায়ত্রী জননী।
স্নেহভরে খাওয়ায় কঙ্কে ক্ষীর-সর-ননী॥
সেই দিন হইতে কঙ্ক উঠিয়া প্রভাতে।
লইয়া গর্গের ধেনু চরায় মাঠেতে॥
সন্ধ্যাকালে গাভী লইয়া ফিরে কঙ্ক ঘরে।
সিকায় তুলা দুগ্ধকলা খাওয়ায় কঙ্কেরে॥
নরম স্বভাব তার সুন্দর মূরতি।
আচার বেভারে[১] কঙ্কের সুখী সবে অতি॥
বড় বুদ্ধিমন্ত কঙ্ক বাখানি তাহারে।
মুখে মুখে সিলুক[২] কত শিখিল অন্তরে॥
দেখিরা গর্গের মনে ইচ্ছা হইল ভারি।
দশ না বৎসরের কালে হাতে দিলা খরি॥
আদরে যতনে কঙ্কের সুখে দিন যায়।
লেখাপড়া করে আর ধেনু যে চড়ায়।১—২৪
(8)
বিপদের উপর বিপদ্
দুঃখিতের দুঃখ না যায় বিধি হৈল যাম।
বরাতের ফেরে হায় হৈল কোন কাম॥
গায়ত্রী জননী মৈল শীতলা রোগেতে।
কঙ্কের কপাল মন্দ কয় রঘুসুতে॥
দিশা—আমার দুঃখে দুঃখে গেল দিন।
দয়া কর দয়াময়ী জেনে দীনহীন॥
দুঃখের লাগিয়া গোসাঞি রাখিলা পরাণি।
বাঘে ভৈষে নাহি খায় না ছুঁয় ডাকিনী॥