কঙ্কের বাঁশী শুনে নদী বহে উজান বাঁকে[১]।
সঙ্গীতে বনের পশু সেও বশ থাকে॥
ভাটিয়াল গানেতে ঝরয়ে বৃক্ষের পাতা।
এক মনে শুন কহি তাহার বারতা॥
“আইস আইস প্রাণের বন্ধুরে বইস আমার কাছে।
দেখিব তোমার মুখে কত মধু আছে॥
তুমি হও তরুরে বন্ধু আমি হই লতা।
বেইরা রাখব যুগলচরণ ছাইড়া যাইব কোথা॥
তোমারে শুইতে দিবরে বন্ধু অঞ্চল বিছান।
মুখেতে তুলিয়া তোমায় দিব সাচীপান॥
গলেতে গাঁথিয়ারে দিব মালতীর মালা।
ঝাড়িয়া পুঁছিয়া দিব তোমার গায়ের ধূলা॥
তুমিরে ভমরা বন্ধু আমি বনের ফুল।
তোমার লাইগারে বন্ধু ছাড়বাম জাতি-কুল॥
ধেনু বৎস লইয়া তুমি যাওরে বাথানে।
বন্দের[২] লাইগা থাকি চাইয়া পথ পানে॥
পথ নাহি দেখিরে বন্ধু ঝুরে আখি জলে।
পাগলিনী হইয়। ফিরি তিলেক না দেখিলে॥
নয়নের কাজলরে বন্ধু আরে বন্ধু তুমি গলার মালা।
একাকিনী ঘরে কান্দি অভাগিনী লীলা॥
না যাইও না যাইও বন্ধুরে আরে চরাইতে ধেনু।
আতপে শুকাইয়া গেছেরে বন্ধু তোমার সোণার তনু॥
আইস আইস বন্ধু খাওরে বাটার পান।
তালের পাংখায় বাতাস করি জুড়াক রে পরাণ॥
আহারে প্রাণের বন্ধু তুমি ছিলে কৈ।
তোমার লাইগা ছিকায় তোলা গামছা-বান্দা দৈ[৩]॥