(৮)
গোপন দীক্ষা
জুহরী[১] জহর চিনে বেনে চিনে সোনা।
পীর প্যাগাস্বর চিনে সাধু কোন জনা॥
পীরের অদ্ভুত কাণ্ড সকলি দেখিয়া।
কঙ্কের পরাণ গেল মোহিত হইয়া॥
সর্ব্বদা নিকটে কঙ্ক ভক্তিপূর্ণ মনে।
চরণে লুটায় তার দেবতার জ্ঞানে॥
তার পর জাতি-ধর্ম্ম সকলি ভুলিয়া।
পীরের প্রসাদ খায় অমৃত বলিয়া॥
দীক্ষিত হৈলা কঙ্ক যবন পীরের স্থানে।
সর্ব্বনাশের কথা গৰ্গ কিছুই না জানে॥
জাতি-ধর্ম্ম নাশ হৈল রটিল বদনাম।
পীরের নিকটে কঙ্ক শিখিয়ে কালাম[২]॥
পীরের নিকটে যায় কেউ নাহি জানে।
গতায়তি করে কঙ্ক অতি সংগোপনে॥
ভক্তি-মুক্তি-তন্ত্র-মন্ত্র-দেহ-প্রাণ-মন।
অচিরে গুরুর পদে কৈল সমৰ্পণ॥
গুরুতে বিশ্বাস যার গুরু ইষ্ট ধন।
দামোদর দাস কহে এই ভক্তের লক্ষণ॥১-১৮
(৯)
সত্যপীরের পাঁচালী
দেখিয়া শুনিয়া পীর, কঙ্কেরে করিলা স্থির
উপযুক্ত ভক্ত এহি জন।
সত্যপীরের পাঁচালী, কঙ্কেরে লিখিতে বলি,
একদিন হৈল অদৰ্শন॥