স্বপনে দেখিল কঙ্ক রাত্রিশেষ-কালে।
শ্মশ্মশান থলাতে[১] পড়ে জ্বলন্ত অনলে॥
চৌদিকে পিচাশ করে তাণ্ডব-নিত্তন।
কান্দে কঙ্ক “প্রাণে মরি রাখছ জীবন॥
রক্ত-গৌর তনু তার কাঞ্চনের কায়া।
আগুন হইতে কঙ্কে দিল বাচাইয়া॥
স্বপনে আদেশ তার পাইয়া কঙ্কধর।
প্রভাতে ‘গৌরাঙ্গ’ বলি তেজিলেন ঘর॥
(১৪)
লীলার কঙ্ককে অন্বেষণ
প্রভাতে উঠিয়া লীলা কঙ্কের উদ্দেশে।
আলুই[২] মাথার কেশ পাগলিনী বেশে॥
পরথমে পশিল লীলা কঙ্কের শয়ন-ঘরে।
শূন্য শেষ[৩] পরে আছে কঙ্ক নাহি ঘরে॥
গোয়াল ঘরেতে লীলা ধায় পাগলিনী।
শূণ্য গৃহ পরে আছে দেখে অভাগিনী॥
নয়নেতে নিদ্রা নাই পেটে নাই অন্ন।
সর্বস্থান খুঁজে লীলা করি তন্ন তন্ন॥
হেমন্তে জোয়ারে নদী জায় উজানিয়া।
তখাতে বেড়ায় লীলা কঙ্কেরে খুঁজিয়া॥
মালতী-বকুলে লীলা জিজ্ঞাসে বারতা।
“তোমরা নি দেইখছি আমার কঙ্ক গেল কোথা॥”
একস্থানে শতবার করে বিচরণ।
“কোথা কঙ্ক” বলি লীলা ডাকে ঘন ঘন॥