আদব-কায়দা,—হগলের[১] উপর তার চান্দের ছটা রূপ দেইখ্যা একেবারে পাগল হইয়া গেল।
গান—
রাজা—“কে তুমি সুন্দর কন্যা কোথায় বাড়ী ঘর।
কিবা নামটী মাতা পিতার কিবা নাম তোর॥
স্বরূপে সুন্দর কন্যা লো পরিচয় দাও মোরে।
বাইর কামুলী[২] দাসীর কাজ না সাজে তোমারে॥
তুমি যে হইবে কন্যা লো কোনো রাজার ঝিয়ারী[৩]।
কর্ম্মের লিখনে তুমি ফির বাড়ী বাড়ী॥
তোমার সুন্দর রূপ লো কন্যা চান্দ লাজ পায়।
ভাড়াইয়োনা কন্যা মোরে লো আমার প্রাণ যায়॥”
কাজলরেখার উত্তর—
“আমি যে কঙ্কণ দাসীরে রাজা শুন দিয়া মন।
তোমার নারী কিন্ল দিয়া হাতের কঙ্কণ॥
বনে ছিলাম বনবাসী দুঃখে দিন যায়।
ভাত কাপড় জোটে মোর তোমার কিরপায়॥
মাও নাই বাপও নাই গর্ভসোদর ভাই।
আসমানের মেঘ যেমন ভাসিয়া বেড়াই॥”
এইরকমে নিত্যি নিত্যি কাজলরেখাকে তার পরিচয় জিজ্ঞাসা করিয়া রাজা আর কোন কূল কিনারা কইরা উঠ্তে পার্ল না। এদিকে নকল রাণীর স্বভাব-চরিত্র, কথাবার্ত্তা, বেখ্নার[৪] চোটে একেবারে অতিষ্ঠ হইয়া উঠ্ল। রাজা মনে মনে কাজলরেখাকেই প্রাণের