(১০)
বেদের দলের পলায়ন
“সন্দে[১] গুচ্যা[২] গেল ভাইরে আর না থাকবাম[৩] দেশে।
আমার কথা রাখ্যা চল যাইগা অন্য দেশে॥
বাড়ী ঘর পড়্যা থাকুক থাকুক সাইলের চিরা।
এই দেশেতে না থাক্য[৪] ভাইরে আমার মাথার কিরা॥”
বাঁশ লইল দড়ী লইল সকল লইয়া সাথে।
পলাইল বাইদ্যার দল আইন্ধ্যারিয়া[৫] নিশিতে॥
পড়্যা রইল ঘর দরজা বাড়ী জমীন পড়া।
এই কথা শুন্যা সবে লাগে চমক তারা॥[৬]
যখন নাকি নদ্যার ঠাকুর এই কথা শুনিল।
খাইতে বইয়া[৭] মুখের গরাস[৮] ভূমিতে ফেলিল॥
মায় ডাকে বাপে ডাকে নাহি শুনে কথা।
নদ্যার ঠাকুর পাগল হইল সকল লোকে কয়॥ ১—১২
(১১)
মায়ের নিকট হইতে নদ্যার চাঁদের বিদায়-গ্রহণ
“ভাঙ্গা ঘর পড়িয়া রইছে চালে নাইরে ছানি।
পিঞ্জিরা করিয়া খালি উইড়াছে পঙ্খিনী॥
এইত উঠানে কন্যা নিরালা বসিয়া।
বিনা সূতে গাঁথ্ত মালা আমার লাগিয়া॥
দিন যায় মাস যায় আর না হইবে দেখা।
আছিলাম ব্রাহ্মণের পুত্র কপালের এই লেখা॥